বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
ডেস্ক রিপোর্ট: কাজের খোঁজে অবৈধপথে ভারতে প্রবেশের সময় পঞ্চগড়ের একটি সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে আটকা পড়েন সুজন আলী (৪২) নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে দেখতে পেয়ে বাধা দেয়। এতে তিনি নদীর মধ্যখানের নোম্যান্সল্যান্ডে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সুজনকে গ্রহণ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি)।
মঙ্গলবার (৭ মে) পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমতলা কাজীপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।
জানা গেছে, সীমান্ত পেরিয়ে কাজের খোঁজে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন সুজন আলী। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তারা তাকে ঠেলে নামিয়ে দেয় করতোয়া নদীতে। এদিকে বিজিবিও তাকে নিতে নারাজ। নদীর মধ্যখানের নোম্যান্সল্যান্ডে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাকে।
পরে বিকেলে ডাকা হয় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক। সেখানে সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এ সময় তার বাড়ি বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর বলে তিনি জানাযন। এক পর্যায়ে বিজিবি তাকে সেখান থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা লতিফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ব্যক্তিকে ঠেলে নদীতে নামিয়ে দেয় বিএসএফ। আমরা মনে করেছি ভারত থেকে বাংলাদেশে লোক ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরে তাকে আমরা ও বিজিবি ঢুকতে দেইনি। তার কাছে বাংলাদেশি একশ টাকার নোট, ভারতীয় খৈনির একটি প্যাকেট ও গাঁজা পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময় তিনি নদীর মাঝখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে বিকেলে বিজিবি তাকে আটক করে নিয়ে যায়।’
এ ঘটনায় পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়েনের অধিনায়ক কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, ওই ব্যক্তি পঞ্চগড়ে কিছুদিন কাজ করেছেন। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। সেখানকার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামও তিনি বলতে পারছেন। তিনি হয়তো মাদকাসক্ত। কারো পরামর্শে তিনি কাজের খোঁজে ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাছে তুলে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
— সূত্র: সময় সংবাদ
Be the first to comment on "নোম্যান্সল্যান্ডে আটকা পড়ে কোনও দিকেই যেতে পারছিলেন না মুন্সীগঞ্জের সুজন"