নিজস্ব প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পারভেজ (২০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোররাত থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এই সংঘর্ষ। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রণক্ষেত্র পরিণত হয় সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রাম।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রাব্বি (১৯) ও পারভেজকে (২০) গুরুতর অবস্থায় প্রথমে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পথিমধ্যে মারা যায় গুলিবিদ্ধ পারভেজ (২০)। এছাড়া অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লা কান্দি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মামুন হালদার-নজির হালদার গ্রুপের সাথে আহমদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধী চলে আসছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষের লিপ্ত হয় গ্রুপ দুটি। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারও বিবাদে জড়ায় দুই গ্রুপের সমর্থকরা, বাধে সংঘর্ষ। মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিণত হয় গ্রাম দুটি। আতঙ্কিত হয়ে পরে গ্রাম দুটির সাধারণ মানুষ। ভাঙচুর হয়েছে ১০ থেকে ১২টি বসতবাড়ি। বর্তমানে গ্রাম দুটিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ আহমদ গ্রুপের আহমদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে মামুন হালদারের ভাই সেলিম হালদার গ্রুপের লোকজন আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পারভেজ ও রাব্বিকে গুলি করে। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পারভেজ মারা যায়। এছাড়াও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় আমার কর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের উপর গুলি ছোড়ে এতে আমার এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায় এবং অপর এক কর্মী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বাড়িঘর।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন মামুন হালদার। তিনি বলেন, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকাল থেকে আমাদের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো আহমদ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। পরে রাতে আমার লোকজনের বাড়িঘরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমার ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে দাবি করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে গ্রাম দুটিতে পুলিশি অভিযান চলছে। যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
Be the first to comment on "মুন্সীগঞ্জে দুগ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১"