ঘুড়িটি যখন পাক খেয়ে
ভেসে ভেসে দূরে চলে যাচ্ছিল,
তখন তুমি বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে
সেদিকে তাকিয়ে ছিলে!
কারণ-
লাটাইটি তখনো তোমার হাতে
শক্ত করে ধরা।
এত শক্ত মাঞ্জা দেয়া সূতো, কি করে কেটে যায়
ভেবে তুমি অবাক হলে!
তোমার দাম্ভিকতা তোমাকে এতটা অন্ধ করেছিল,
পরাজয় বলে অভিধানে যে একটি শব্দ আছে
তা তুমি ভুলে ছিলে।
পিঁপড়ে তো অতি ক্ষুদ্র,
তা তুমি দু’পায়ে পিষে মারতে।
শুধু কি দাম্ভিকতা?
নাকি সুপ্ত পৈশাচিক কোন আনন্দ পেতে,
জানার ইচ্ছে হয়নি কখনো।
আসলে তুমি ছিলে অনেক বোকা,
শক্ত মাঞ্জা দেয়া সূতো ছিড়েও যে
মুক্ত হয়ে যায় ঘুড়ি-
তা ছিল তোমার বোধের বাইরে।
যুগে যুগে মানুষ মুক্তির জন্য
কত কিনা করেছে!
পশু-পাখি বন্দি করে রাখা যায়
কিন্তু মানুষেকে নয়।
যখন তোমার এই বোধোদয় হলো,
তখন আমিও তোমার নাগালের বাইরে-
কাটা ঘুড়িটির মত ভেসে চলেছি,
কারণ-
মুক্তির আনন্দ পেতে কার না ইচ্ছে হয় বলো?
Be the first to comment on "কবিতা: মুক্তি।। জেসমিন সুলতানা"