স্টাফ রিপোর্টার : ‘‘মাস্টার্স পাশ করার পর অনেকদিন সরকারি চাকরি খোঁজার চেষ্টা করেছি। এদিক ওদিক খোঁজ নিতাম। মাঝখানে করোনা চলে এলো। লকডাউনে বাসায় বসে ভাবতাম কি করবো কি করবো? এমন সময় আমি ফেইসবুকে উই নামে একটি গ্রুপের সন্ধান পেলাম। সেখানে দেখলাম আমার মত অনেকেই বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে। সেটা দেখে আমারও ইচ্ছে হলো নিজ থেকে কিছু করার। এভাবেই আমার যাত্রা।থথ
কথাগুলো বলছিলেন ফতুল্লা ডিআইটি মাঠ সংলগ্ন ঋষি পাড়া এলাকার বাসিন্দা কনিকা রানী দাস। বর্তমানে সবুজ আচল নামে অনলাইন প্রতিষ্ঠান খুলে এখন অন্যতম সফল ব্যবসায়ীতে পরিণত হয়েছেন। রঙতুলির কাজ থেকে যাত্রা শুরু করে এখন জনপ্রিয় পোশাক নির্মাতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। কনিকা বলেন, প্রায় ২ বছর ধরে চলছে এই সবুজ আচল এর কার্যক্রম। প্রথমদিকে রঙতুলির কাজ কেউ পছন্দ করবে না এমন নিরুৎসাহ মূলক বার্তা পেলেও সেই রঙতুলির কাজই সকলকে আকৃষ্ট করেছে। আর এই রঙতুলির কাজই ব্যতিক্রম হিসেবে উঠে এসেছে অনলাইন জগতে।
তিনি তার প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে ই ক্যাবের কথা বলতে ভুলেননি। কিভাবে তিনি সহায়তা পেয়েছিলেন ই ক্যাবের তরফ থেকে। অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান চালু হবার পরে হারিয়ে গেলেও টিকে রয়েছে কনিকার সবুজ আচল। বর্তমানে নারীদের পোশাকের পাশাপাশি পাঞ্জাবির কাজও করছেন কনিকা। কনিকা জানান, এখন পর্যন্ত প্রচুর গ্রাহকের সাড়া পেয়েছেন। ঈদ এবং পূজায় তার অর্ডার বেড়ে যায়। গ্রাহদের সন্তুষ্টি তাকে মুগ্ধ করে। ঈদ ও পূজাকে সামনে রেখে বর্তমানে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন তিনি। এর পাশাপাশি জুয়েলারি নিয়েও কাজ করছেন কনিকা।
নতুনদের উদ্দেশ্যে সবুজ আচলের এই স্বত্বাধিকারি বলেন, যে যেই বিষয়ে আগ্রহী এবং পারদর্শী সে যদি অনলাইন কিংবা অন্যকোন মাধ্যমে লেগে থাকে তাহলে ভালো করা সম্ভব। সেজন্য হাল ছাড়া যাবে না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে টিকে থাকলেই সাফল্য এসে ধরা দিবে।
Be the first to comment on "লকডাউন বদলে দিলো কনিকার ভবিষ্যৎ"