শিরোনাম

একজন প্রধান শিক্ষকের পাশে দাঁড়ান!

বাবার জন্য মেয়ের আকুঁতি

আলোকিত মুন্সীগঞ্জ ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জে একজন প্রধান শিক্ষক বাবার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অসুস্থ বাবাকে হৃদয় বিদারক করেছেন তারই কন্যা। একজন আদর্শ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পায়তারা করছেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল। ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ পোস্ট টি ভাইরাল হতে থাকে। নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো :

আমি মায়িশা সামিহা। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

আমার বাবা কে.এম মোশারফ হোসেন ৩৩ বছর যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে দিঘীরপাড় অভয় চরণ বিদ্যানিকেতনে শিক্ষকতা করে আসছেন। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে উপজেলা ও জেলায় নেতৃত্ব দেন। গত ৩বছর আগে তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করায় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তারপরও স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত থেকে দক্ষতার সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি অত্র এলাকায় এবং টংগীবাড়ি উপজেলায় অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন প্রধান শিক্ষক। তিনি অসুস্থ থাকার পরেও মুন্সীগঞ্জ জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি, দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ উপজেলা কমিটির সভাপতি এবং ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্বরত রয়েছেন।

 

তবে তার অসুস্থতাকে পুঁজি করে কিছু স্বার্থান্বেষী লোক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে থেকে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার পায়তারা করছেন। যা বাবা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না। সম্প্রতি এক অসভ্য লোক কমিটির সদস্য হতে না পেরে বাবার নামে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিদ্যালয়ের অসংখ্য প্রাক্তন ছাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ করছেন। বর্তমানে ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই জনৈক সভাপতি প্রার্থী মোবাইল ফোনে বাবাকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করেন এবং মারধর করার হুমকি দেন। বাবার দোষ হলো স্কুলটিকে বাঁচাবার জন্য সভাপতি হিসেবে একজন সৎ মানুষ চেয়ে আসছেন এবং নিজে মর্যাদার সহিত চাকরিজীবন শেষ করতে চান।

আমার বাবা যেহেতু স্ট্রোকের রোগী সেহেতু আমার বিনীত অনুরোধ বিদ্যালয়ে এমন কোনো উত্তেজনাকর পরিবেশ যেন সৃষ্টি না হয় যাতে করে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। আমরা পুরো পরিবার আমার বাবাকে নিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই প্রশাসনের কাছে আমার পরিবারের পক্ষ হতে একান্ত অনুরোধ থাকবে এ বিষয়টি যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

 

Be the first to comment on "একজন প্রধান শিক্ষকের পাশে দাঁড়ান!"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*