শিরোনাম

দেশে দেশে যেভাবে হয় ঈদ শুভেচ্ছা

পবিত্র রমজান শেষ হয়েছে। শাওয়াল মাসের চাঁদ উঠলেই মুসলমানেরা ঈদের আনন্দে মেতে ওঠেন। মহান আল্লাহকে খুশি করতে দীর্ঘ একটি মাস তারা সিয়াম সাধনা করেন। রোজা শেষ হলে মুসলমানেরা পরস্পরকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সোমবার (২ মে) সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলোতে ঈদ উদ্‌যাপন হয়েছে। বাংলাদেশে হবে একদিন পরে মঙ্গলবার। চান্দ্র মাস সাধারণত ২৯ কিংবা ৩০ দিন স্থায়ী হয়। এতে ২৯ রোজার দিন সূর্য ডোবা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়; আরও একদিন রোজা হবে কিনা, তা জানতে।

 

মুসলমানরা চাঁদের জন্য অধীর চোখে পশ্চিম দিগন্তে তাকিয়ে থাকেন। নতুন বাঁকা চাঁদ চোখে পড়লেই রোজার মাসের ইতি ঘোষণা করেন তারা।

 

যেভাবে ঈদ উদ্‌যাপন

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে সাধারণত তিন দিন ঈদ উদ্‌যাপন করা হয়। এটিই ঐতিহ্য। তবে দেশভেদে ছুটির দিন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ঈদের দিন সকালে মুসলমানরা নামাজ পড়েন। সূর্য ওঠার পরই দলে দলে তারা ঈদগাহে গিয়ে জামাতে শরিক হন। সেখানে ধর্মীয় নেতারা কোরআন ও হাদিসের বাণীর মাধ্যমে মুসল্লিদের নসিহত করেন।

 

 

 

নামাজ শেষে পরস্পরকে আলিঙ্গন করেন। অতীতের দুঃখ-কষ্ট এদিন সব ভুলে যান। পুরো ঈদগাহে পবিত্রতার এক অসীম আবহ ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের সকালে মিষ্টিমুখেরও ঐতিহ্য আছে। শিশুদের জন্য ঈদ ভিন্ন এক আনন্দ বয়ে আনে। নতুন পোশাক কিংবা উপহার তাদের আনন্দকে নতুন মাত্রা দেয়।

 

 

 

নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মুসলমানরা ‘তাকবির’ পাঠ করেন। সারাক্ষণ মুখে আল্লাহু আকবার তসবিহ জপেন। পরস্পরকে দেখলে তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা (আল্লাহ তোমার ও আমার পক্ষ থেকে এই ঈদ কবুল করুন) দোয়া পড়েন।

 

 

 

কোথাও-কোথাও পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের কবর জিয়ারত করার প্রথাও রয়েছে। তাদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের শহরগুলো আলোকসজ্জা করা হয়। রমজানের স্মরণে সবার মধ্যে উৎসব ছড়িয়ে পড়ে।

 

 

 

মুসলমানদের সাধারণ ঈদ শুভেচ্ছা

 

অধিকাংশ দেশেই ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ‘ঈদ মুবারক’ বলা হয়। তবে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে তাতে ভিন্নতাও আছে। আরব দেশগুলোতে ঈদ মুবারকের সঙ্গে কেউ কেউ ‘কুল্লু আ’ম ও আনতুম বেখইর’ যুক্ত করেন।

 

 

 

উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘মেন আঈদিনা অলফায়েজিনা’ (من العايدين والفايزين) বলেও শুভেচ্ছা প্রকাশ করা হয়। জবাবে বলা হয়, মিন মাকবুলিনা অলগানিমি (من المقبولين والغانمي)।

 

 

 

বসনিয়ায় ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে বলা হয়, বাজরাম শেরিফ মুবারক ওলসুন, জবাবে বলা হয়, আল্লাহু রাজি অলসুন। তুরস্কে বেরামিনিজ কুতলু অলসুন (আপনার ঈদ শুভ হোক), আই বেইরামলার, বেরামিনিজ মুবারেক অলসুন বলেও সম্বোধন করা হয়। পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের মধ্যে উর্দুতে আপকো বি ঈদ মুবারকও বলা হয়।

 

আর খাইবার পাখতুনখাওয়াসহ আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ‘আখতার দে মুবারক শা’ বলে পরস্পরকে ঈদ শুভেচ্ছা জানানো হয়। বেলুচিস্তানের অধিবাসীরা বলেন, ঈদ তারা মুবারক বা। বারুহিভাষীরা বলেন, ঈদ নে মুবারক মারে।

ইন্দোনেশিয়ায় ‘সেলামাত ঈদুল ফিতর’ ও মালয়েশিয়ায় ‘সালাম ঈদিলফিতর’ বলে সম্বোধন করা হয়। পাশাপাশি ‘মিনাল ঈদিন ওয়াল ফাইজিন’ও বলা হয়। ফিলিপিন্সে ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে বলা হয়, সালামাত হারিরায়া পৌসা। হাউস ভাষায় বলা হয়, বারাক দা সাল্লাহ।

ঘানার দাগবানলি ও কিউসাসিভাষীরা বলেন, ‘নি তি ইউন পাল্লি’, যার অর্থ, শুভ ঈদ মৌসুম। স্প্যানিশরা বলেন, ফেলিজ ঈদ। সোমালিরা বলেন, সিড মুবারক। ফরাসিরা বলেন, বৌন ফেইট দি আ’ঈদ।

 

 

 

Be the first to comment on "দেশে দেশে যেভাবে হয় ঈদ শুভেচ্ছা"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*