সিরাজদিখানে যেখানে সেখানে নিষিদ্ধ ভেশাল জাল
নাজমুল মোল্লা,সিরাজদিখান প্রতিনিধি: সিরাজদিখানে খালে-বিলসহ সেখানে সেখানে নিষিদ্ধ ভেসাল জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে মাছ। খালের মুখ আটকিয়ে এভাবে মাছ ধরায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। যেন দেখার কেউ নেই। মাছ ধরার এই ভেসাল নিষিদ্ধ থাকলেও অহরহ চোখে পরে উপজেলার সর্বত্রই। মৎস্য অধিদপ্তর থেকে উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট থেকে রুই-কাতল-মৃগেল এর পোনা উন্মুক্ত জলাশয়ে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু এর ফল কিছুই হয় না। এক শ্রেণির মৎস্যজীবী খাল-বিলে মাছের অবাধ চলাফেরার রা¯তায় ভেসাল দিয়ে ধরে ফেলছে এই পোনা মাছ গুলো। পোনা গুলো বড় হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না তারা। উপজেলার শেখরনগর, লতব্দি, মালখানগর, জৈনসার, মধ্যপাড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ধরছে মাছ। কোন নিষেধাজ্ঞা মানছে না তারা।
মধ্যপাড়ার আ. রব, রামানন্দের জোবায়ের, গয়াতলার রহমান, রথবাড়ির আলী, কাকালদী গ্রামের চান মিয়াসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশীয় প্রজাতির নানা প্রকার মাছ এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন নদী-খাল-বিলে আর আগের মত মাছ পাওয়া যায় না। আগে উন্মুক্ত জলাশয়ে, কৈ, শিং, মাগুর, সরপুটি, টেংড়া, বাতাসি, খৈলসা, টাকি, মলা, ঢেলা, তপসিসহ নানা প্রকার মাছ পাওয়া যেত। আগামী প্রজন্মকে মাছের জাদুঘরে ছবি দেখিয়ে বলতে হবে এগুলো আমাদের হারিয়ে যাওয়া দেশী মাছের ছবি। আগে নদী-খাল-পুকুরে বড় মাছের মধ্যে রুই-কাতল-মৃগেল, কালিবাউস, আইড়, শোল, বোয়াল পাওয়া যেত। এখন চাষ ছারা পাওয়াই না। কোন নদীতে পাওয়া গেলে তাও যে দাম আমাদের মত সাধারণ লোকের পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব না। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ একটু একটু তৎপর হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এখনো কিছু রক্ষা করা সম্ভব।
এ বিষয়ে লতব্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম সোহরাব হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে ভেসাল ছিল, অনেক উঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখনো কয়েকটি প্রভাবশালী লোকের ছত্র ছায়ায় ভেসাল দিয়ে মাছ ধরছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান জানান, লোকবল কম, ৭ জনের স্থলে দুইজন। এত বড় উপজেলা কন্ট্রোল করা কষ্টকর। তবুও আমরা সব কাজ করে যাচ্ছি, সময় একটু নিতে হয়। ভেসালের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধমে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
Be the first to comment on "হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ!"