স্টাফ রিপোর্টার: টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল- বানারী ইউনিয়নে যথাক্রমে সোম, মঙ্গল ও বুধবার স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। বানারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনে প্রায় নয় হাজার ভোটারের স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়। আজ বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসাইল-বানারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদারের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারনে প্রায় নয় হাজার ভোটারকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ভোটারগন জানান, রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারাদিন স্মার্ট কার্ডের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। মাথায় উপরে ছাউনী ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিলে সুষ্ঠভাবে আমরা কার্ড নিতে পারতাম। প্রচন্ড রোদের তাপ ও ভীড়ের চাপে তিন দিনে প্রায় ত্রিশ জন ভোটার অজ্ঞান হয়ে যান। টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, বাঁশের বেড়া ও উপরে ছাউনি দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদরকে চিঠি দিয়েছিলাম । কিন্তু তিনি কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তা আমার জানা নেই।
হাসাইল-বানারী ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য কুদ্দুস মুন্সী ও ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলী আকবর ঢালী জানান, নির্বাচন অফিস থেকে চিঠি দিয়েছে কিনা জানিনা, চেয়ারম্যান এই ব্যাপারে আমাদের অবহিত করেনি । ৭ নং ওয়ার্ডের বৃদ্ধ ভোটার চাঁন মিয়া বেপারী জানান, ভোটের সময় ভাই ভাই ভোট গেলে চিনে না । ভোট দিয়া চেয়ারম্যান বানাইছি বাঁশের বেড়া ও ছাউনি দিতে তিন চার হাজার টাকাই না হয় লাগলো। কিন্তু তা না দিয়া চেয়ারম্যান হাজার হাজার মানুষকে ভোগাইলো। প্রচন্ড রোদের তাপে বুধবার প্রায় আট জন ও গত দুই দিনে প্রায় দশ বারো জন ভোটার অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান আনোয়ার হালদারের এমন অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারনে ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে চেয়ারম্যান আনোয়ার হালদারকে ফোন করা হলে সংবাদকর্মি পরিচয় পেয়ে কথা না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
Be the first to comment on "টঙ্গীবাড়িতে স্মার্ট কার্ড নিতে এসে অব্যবস্থাপনায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি"