শিরোনাম

কেটে ফেলতে হচ্ছে ২০ যাত্রীকে বাঁচানো সেই কনস্টেবলের পা কেটে ফেলা হয়েছে

 

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা: ২০১৭ সালের ৭ জুলাই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদপুরগামী এক যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ে যায়। যাত্রীসহ বাসটি ডোবায় ডুবে গেলেও অনেকে শুধু তা দেখছিলেন। তবে এ চিত্র দেখে স্থির থাকতে পারেননি দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ মিয়া। ইউনিফর্ম পরেই পানিতে নেমে পড়েন তিনি। ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

পারভেজ মিয়ার ওই সাহসিকতার জন্য দেয়া হয় পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম)। এছাড়া, নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল দেন আইজিপি। তবে সাহসী সেই বীর বর্তমানে শয্যাশায়ী। তার পরিবার জানিয়েছে, পারভেজ মিয়ার ডান পা কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

 

 

জানা গেছে, বেপরোয়া কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়ে পা হারাতে বসেছেন পারভেজ। সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ার জামালদি বাসস্ট্যান্ডের সামনে তাকে ধাক্কা দেয় একটি বেপরোয়া কাভার্ডভ্যান। সেখানেই তিনি গুরুতর আহত হন এবং ডান পায়ের গোড়ালি ও হাতে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন তিনি। প্রথমে ‘ট্রমালিংক’-এর স্বেচ্ছাসেবক টিম তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

 

পারভেজের সঙ্গে থাকা তার পাশের বাড়ির চাচাতো ভাই মাসুম মোল্লা বলেন, পারভেজ হাইওয়ে পুলিশের সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণ সেন্টারের পাশেই ডিউটি করছিল। কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা দেয়ার পর প্রথমে গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়।

 

তিনি আরো বলেন, ঢামেক হাসপাতাল থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই ভর্তি আছেন। পারভেজকে এখন পর্যন্ত ৯ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। আরো রক্ত লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পঙ্গু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পারভেজকে বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

 

পারভেজের ছোট ভাই মো. মহিউদ্দিন বলেন, গতকাল (সোমবার) তার পায়ে একটি অপারেশন করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার জন্য আমরা ৯ ব্যাগ রক্ত ব্যবস্থা করেছি। ৭ ব্যাগ লেগেছে, দুই ব্যাগ এখনো বাকি আছে। আজ সকাল থেকে তার অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার ডান পার হাঁটু থেকে নিচে কেটে ফেলতে হবে। আমরা চিকিৎসকদের বলেছি, প্রয়োজনের সব ব্যবস্থা করতে, পা কেটে ফেললে কৃত্রিম পা লাগানো যাবে, আমরা শুধু তাকে ফিরে পেতে চাই।

 

 

 

Be the first to comment on "কেটে ফেলতে হচ্ছে ২০ যাত্রীকে বাঁচানো সেই কনস্টেবলের পা কেটে ফেলা হয়েছে"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*