শিরোনাম

ফণীর প্রভাবে হতে পারে আকস্মিক বন্যা

 

 

অনলাইন ডেস্ক ॥ ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।

 

শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী-সংক্রান্ত বিশেষ বার্তা’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বাংলাদেশর উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং কাছাকাছি ভারতীয় অঞ্চলের কিছু স্থানে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর প্রভাবে ওই অঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর বিশেষ করে সুরমা, কুশিয়ারা, কংশ, যাদুকাটা, তিস্তার পানির সমতল আগামী ৭২ ঘণ্টায় বাড়তে পারে। কোথাও কোথাও বিপদসীমার অতিক্রম করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 

অপরদিকে ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারী (দিনে ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।

একই সঙ্গে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

Be the first to comment on "ফণীর প্রভাবে হতে পারে আকস্মিক বন্যা"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*