সেদিন সন্ধ্যা রাতে-
স্বগর্বে দাড়িয়ে থাকা নারিকেল মহীরুহে,
কি ঘটেছিলো!
কোনো কাকের দল কি
ঝাঁক বেধে সবলে তুলেছিল হাক?
নাকি বিষাক্ত নাগ তুলেছিলো ফনা!
সাইবেরীয় এক অতিথির
আকস্মিক নিম্নগমন শত ভাবনায় প্রশ্নবিদ্ধ করে।
অদ্ভুত সুন্দর ছিলো তার গায়ের রং,
চোখের চারপাশে কালো ডোরাকাটা আবরন
যেনো বাঙালি নারীর মতোই এঁকেছে কাজল!
মসৃণ পালকে দু চারটে শুভ্র চক্র, অরুন তার ক্ষুর যুগল।
ক্ষণে ক্ষণে তার চক্রি মস্তিষ্ক যেনো ইউরোপ থেকে –
এশিয়া, আফ্রিকা এভাবেই পূর্ণ ঘূর্ণমান।
সবিশেষ মুক্তি তার নিঃশব্দ নিরালায়,
হয়তো যাযাবর বেশে এপথে দেহান্তর হবেনা দ্বিতীয় কোনো সাইবেরীয়।
যুগে যুগে বর্ণবাদ, জাতি বিভাজন
ছিলো জনে জনে মেরু থেকে মেরুতে।
চোরাগোপ্তা হামলা, ক্রীতদাস, রক্তক্ষরণ-
নিয়েছে হাজারো প্রাণ জাতিগত সংঘাতে।
প্রাণীজগতের হিংস্রতা বড়োই নিপুন,
তাদের ভাষা, সুর বোধগোম্যতার উর্ধ্বে।
ভাবনা কড়া নাড়ে সেই অতিথি হয়তো বর্ণবাদের শিকার,
নয়তো নাগরিকত্বহীনতায় ক্লেশিত তার সলিল সমাধি।
Be the first to comment on "মো: আশরাফুল আলম উজ্জ্বলের কবিতা– অতিথির মৃত্যু"