শিরোনাম

আব্দুল্লাহপুর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে নিয়ে সমালোচনার ঝড়

দেড় বছরেও হয়নি পূর্নাঙ্গ কমিটি,পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় অনিয়মের অভিযোগ।

 

স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাপর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি মো: আজহার উদিন বাবু ও সাধারন সম্পাদক নাঈম সৌরভকে একটি নিউজ পোর্টালে তাদের ছাত্রত্ব নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তারা আদৌ ছাত্র কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে বিগত ২০১৭সালের ১৬ই নবেম্বর কমিটিতে আজহার উদ্দিন (বাবু)কে সভাপতি ও নাইম সৌরভ শেখ কে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি অনুমেদন দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। তবে ১বছর মেয়াদী কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলেও প্রায় দেড় বছর পার হলেও অপূর্নাঙ্গ ভাবে চলছে ইউনিয়ন কমিটিটি। যে কারণে ছাত্রলীগের নতুন মুখ বের হয়ে আসছে না এখান থেকে।

 

স্থানীয় একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানিয়েছেন বর্তমানে একমিটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের চেষ্টা করলেও দুই নেতা স্বজন প্রীতির মাধ্যমে অছাত্রদের যুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে করছেন।

 

 

স্থানীয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানাযায়, কমিটির সভাপতি আজহার উদ্দীন (সানু) আব্দুল্লাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ২০০৭সালে এসএসসির নির্বাচনী পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত কমিটি গঠনের কিছুদিন পূর্বে অবৈধ কাগজ পত্রের মাধ্যমে যোগসাযোগে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব গ্রহন করে।

তবে উন্মূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও সে বর্তমানে অনিয়মিত বলে প্রমান রয়েছে। এদিকে কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাইম সৌরভ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ব্যাংকের রাজধানী ঢাকার একটি শাখায়  চাকুরী  চাকরী করছে। অধিকাংশ সময়ই সে ঢাকাতে অবস্থান করে স্থানীয় কর্মীদের সাথে নেই কোন সর্ম্পক। যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী ।

এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী  মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে   নতুন কমিটি ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন আব্দুল্লাহপুরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা। । এখন আবার নতুন করে কমিটি গঠনের প্রচেষ্টা চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের স্থানীয় একাধিক নেতা জানায়, অপকৌশলে তারা নেতা হয়েছে, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এখন এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে। তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

 

এব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান জানান, আজহার উদ্দিনের ছাত্রত্ব থাকা কালিন তাকে সভাপতি করা হয়েছিলো । এখন যদি ছাত্রত্ব না থাকে তবে সে ব্যাপারে সাংগঠনিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিষয়টি অস্বীকার করে আজহার উদ্দীন বাবু  বলেন আমি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি, সেখানে নিয়মিত ক্লাস করি। পূনার্ঙ্গ কমিটির অনুমোদন চেয়ে কাগজ পত্র জমা দেয়া হয়েছে , তবে এখনো তার অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

সাধারণ সম্পাদক নাইম সৌরভ জানান, আমি বর্তমানে সরকারী হরগঙ্গা কলেজে অর্নাস শেষ বর্ষে  পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছি পাশাপাশি বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি তবে সেটা নিয়মিত না।

 

 

এদিকে গত দেড় বছরেও কমিটি গঠন করতে না পারা,নতুন কমিটিতে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অছাত্রদের পদ পদবী দেওয়ার চেষ্টা করায় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা ক্ষোভ জানিয়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের আদৌ ছাত্রত্ব আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই বিষয়ে তারা উপজেলা ও জেলা ছাত্রলীগের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

 

 

 

Be the first to comment on "আব্দুল্লাহপুর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে নিয়ে সমালোচনার ঝড়"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*