রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আটকে পড়া মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে আহত ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান সোহেল রানা না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
টানা ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গতকাল রোববার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ১৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে সোহেল শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
আজ সোমবার সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুন নেভাতে ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার সময় গুরুতর আহত হন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কুর্মিটোলা স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা। উদ্ধারকাজে অংশ নিতে গিয়ে তাঁর পা ভেঙে তিন টুকরা হয়ে যায়। ছিদ্র হয়ে যায় পেটের নাড়িভূড়ি।
সঙ্গে সঙ্গে সোহেল রানাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর কোনো উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গত শুক্রবার রাত ৬টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে সোহেল রানাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিতই ছিল বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান কুর্মিটোলার ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বজলুর রশীদ।
সোহেল রানা কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চৌগাংগা শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। সোহেলের বাবা নুরুল ইসলাম একজন দরিদ্র কৃষক। মা হালিমা আক্তার চার ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি থাকেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সোহেল সবার বড়। পরিবারের হাল ধরতে ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন সোহেল রানা।
ডেস্ক নিউজ
Be the first to comment on "অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন দিলেন ফায়ারম্যান সোহেল"