শিরোনাম

পায়রা সুখ প্রত্যাশী — দোলা ইব্রাহিম

 

কোন এক নিভৃত-নির্জন,নিরালায়

ছিলো তার প্রাণের আবাস।

রক্তঅনলে দগ্ধ,স্পর্শকাতর মেয়েটি যেন,

পায়রার প্রতিচ্ছবির উদ্ভাস।

পায়রা ভালোবাসার ছবি,

মায়ায় ভরা মুখে থাকতো-মায়াবতী হাসি।

পায়রা জানেনা কোন হিংসা দ্বেষ,

জানেনা কোন অত্যাচারীর চাবুকের রেশ।

শুধুই জানে ভালোবাসতে,সহযোগিতা করতে;

পাশে থেকে,কাঁধের পরে কাঁধ রেখে;

সে পারে লড়তে,অন্যের তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে।

পায়রা সুখ প্রত্যাশী! সকল অন্যায়ে হয় সে আগ্রাসী।

নিরব দহনে জ্বলে,সুবাসিত করে সকলেরে;

পায়রা এক ভালোবাসার নাম।

বর্বরতা জানে না দিতে তার মান;

পায়রা সভ্য জাতির নিদর্শন,

সুখচকিয়ার অন্বেষণ;মৃত্তিকার ঘ্রাণ,

পায়রা সাদা মেঘে উড়ে চলা শান্তির গান,

মুগ্ধপ্রাণে বয়ে আনা আগমনী বার্তার তান।

পায়রা নির্ঘুম রাত্রি কাটায়,

জাগে অহর্নিশ;সদা আগুয়ান

তেজস্বী নারীর কালপ্রহরীর বিষ।

পায়রা মিষ্টি মেয়ে;ছোট্ট শিশুর মৃদুভাষী বোল,

কথায় কাজে অটল সে,ঘুচায় কালোর রোল।

পাহাড়ের ওপর হেঁটে পাওয়া,মিষ্টি দখিনা বাতাস;

ভিজতে চায় চাঁদের স্নিগ্ধতায়,এইটুকুই প্রয়াস।

পায়রা চায় মায়ের বুকে; শান্তির সবুজ শোভা,

যেখানে হবেনা মরনব্যাধি ক্ষেপণাস্ত্রের ছোঁয়া।

পায়রা এক উদাসী মেয়ে,প্রকৃতির প্রেমে পাগল;

হিংস্রতার গন্ডগোলের বাজায় না মাদল।

সুখসন্ধানী হয়ে;সে কাজ করে দিবারাত্রি,

সবাই হবে তারই মতন এইটুকুই অভিব্যক্তি।।

 

 

Be the first to comment on "পায়রা সুখ প্রত্যাশী — দোলা ইব্রাহিম"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*