কোন এক নিভৃত-নির্জন,নিরালায়
ছিলো তার প্রাণের আবাস।
রক্তঅনলে দগ্ধ,স্পর্শকাতর মেয়েটি যেন,
পায়রার প্রতিচ্ছবির উদ্ভাস।
পায়রা ভালোবাসার ছবি,
মায়ায় ভরা মুখে থাকতো-মায়াবতী হাসি।
পায়রা জানেনা কোন হিংসা দ্বেষ,
জানেনা কোন অত্যাচারীর চাবুকের রেশ।
শুধুই জানে ভালোবাসতে,সহযোগিতা করতে;
পাশে থেকে,কাঁধের পরে কাঁধ রেখে;
সে পারে লড়তে,অন্যের তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে।
পায়রা সুখ প্রত্যাশী! সকল অন্যায়ে হয় সে আগ্রাসী।
নিরব দহনে জ্বলে,সুবাসিত করে সকলেরে;
পায়রা এক ভালোবাসার নাম।
বর্বরতা জানে না দিতে তার মান;
পায়রা সভ্য জাতির নিদর্শন,
সুখচকিয়ার অন্বেষণ;মৃত্তিকার ঘ্রাণ,
পায়রা সাদা মেঘে উড়ে চলা শান্তির গান,
মুগ্ধপ্রাণে বয়ে আনা আগমনী বার্তার তান।
পায়রা নির্ঘুম রাত্রি কাটায়,
জাগে অহর্নিশ;সদা আগুয়ান
তেজস্বী নারীর কালপ্রহরীর বিষ।
পায়রা মিষ্টি মেয়ে;ছোট্ট শিশুর মৃদুভাষী বোল,
কথায় কাজে অটল সে,ঘুচায় কালোর রোল।
পাহাড়ের ওপর হেঁটে পাওয়া,মিষ্টি দখিনা বাতাস;
ভিজতে চায় চাঁদের স্নিগ্ধতায়,এইটুকুই প্রয়াস।
পায়রা চায় মায়ের বুকে; শান্তির সবুজ শোভা,
যেখানে হবেনা মরনব্যাধি ক্ষেপণাস্ত্রের ছোঁয়া।
পায়রা এক উদাসী মেয়ে,প্রকৃতির প্রেমে পাগল;
হিংস্রতার গন্ডগোলের বাজায় না মাদল।
সুখসন্ধানী হয়ে;সে কাজ করে দিবারাত্রি,
সবাই হবে তারই মতন এইটুকুই অভিব্যক্তি।।
Be the first to comment on "পায়রা সুখ প্রত্যাশী — দোলা ইব্রাহিম"