আত্ম -চিৎকার
মধ্য রাত্রির পর যেনো ঘুম ভেঙে যায়,
রাত্রির অন্ধকার বিদিশায় ঠেলে দেয়!
কি যেনো অমোঘ চিন্তার ঘোরে অবগাহন ,
মর্ত হতে যেনো পাতালপুরে ভ্রমণ !
মধ্য রজনীতে যেনো ঘুম ভেঙে দেয় কেউ!
তিমির যেন বিভীষিকা হয়ে আঁকড়ে ধরে,
পার্থিব ব্যর্থতা রশি হয়ে চেপে নেয় শ্বাস,
বেঁচে থাকার অবলম্বন যেন ক্রমশই হারায় আশ্বাস!
আত্মার ক্রন্দনে চারিপাশ যেনো বিষন্ন,
অপারগতা রন্ধ্রে রন্ধ্রে জাগায় দাবানল;জলন্ত!
লোকালয়ে চিৎকারে কাঁদতে না পারার দহন; জীবন্ত!
প্রতিবাদ করতে না পারার অনুশোচনা; নিরন্ত!
মধ্য নিশিতে যেনো বিবেকের হানা,
আক্ষেপের বিষে যেনো শুরু বোবাকান্না!
দিবালোকে ভালো বেশে ঘুরার চেতন,
সর্পধারী ন্যায়ের যেনো কটাক্ষ দংশন!
পীড়নের কষাঘাতে হৃদে রক্তক্ষরণ,
মজলুমের চিৎকার গায়ে ধরায় জ্বলন!
চক্ষুগুলি হতে রক্ত বন্যার জলোচ্ছ্বাস,
সম্মুখে শির নত করে রাখার অভি-ক্ষেপ!
প্রতি নিশুতিতে আত্মচিৎকারের ভার,
বুকে বহন করে চলা অনিবার্য হার!
নিজের সাথে নিজ দ্বন্দ্বযুদ্ধে লিখা হয় প্রতিবাদ,
হয়তোবা এমনি করেই হালকা হয় কিছু অপরাধ!
Be the first to comment on "দোলা ইব্রাহিমের একটি কবিতা"