নিঃশব্দ অন্ধকার
ভেতরে থমথমে শূন্যতা
বাহিরে হাহাকার,
রাজপথে কাঁটাতারের ব্যারিকেট
বিরুদ্ধ সময়ের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ চারিদিকে,
তৃষ্ণার আগূন জ্বলে
রুগ্ন ধলেশ্বীর নদীতে।
ভূমিহীন কৃষক মরে অনাহারে
কৃষানীর জোড়া চোখ স্বপ্নহীন,
আগূনে মরা শ্রমিকের লাশ গূম
হকার মরে পড়ে থাকে ফুটপাতে।
বাতাসে বারুদের গন্ধ
ছাত্র যুবক নীল মরন নেশায় বসবাস,
সীমিত হতে থাকে
দিনের দিনলিপি জীবন যাপন।
সর্বগ্রাসী অসভত্যা নিলর্জ্জা
মিথ্যা ভাষণে দদ্ধ হয়,
ন্যায় বিচারের অধিকার
গনতন্ত্র, কবিতার পান্ডলিপি।
স্বৈরশাসনের ধাঁরালো ব্লেডে
কাটা পড়ে মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবন৷,
একটি স্বপ্নের জন্য
শুধু একটি স্বপ্নের জন্য
মৃত্যুকে এত ভয় পান কেন কবি।
রক্তে বিপ্লব আসে
সূর্যের মতো পূর্ব পুরুষ,
যারা যুদ্ধে গিয়ে ফিরে আসেন না
তারা জীবন দিয়ে
স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন ।
প্রত্যাশার আগূন নিয়ে
জ্বল জ্বল চোখে
সালাম
বরকত
রফিক
তোমরা যতটুকু দিয়েছ
ততটুকুই সম্বল জাতির।
নিলর্জ্জ আমি,
ধলেশ্বরী নদীর তীরে
শূনতে পাই নদীর কান্না
বর্ধির কান্না,
চোখের আড়ালে
আড়ালে ভীষন আড়ালে
নিঃশব্দ অন্ধকারে। ★*
**——*******★
অসাধারণ কবিতা।
কি সুন্দর ভাষার খেল মুগ্ধ হয়ে গেলাম।