শিরোনাম

মুন্সিগঞ্জ ২ আসন : আওয়ামীলীগে কোন্দল, প্রার্থীতা নিয়ে গুঞ্জন

স্টাফ রিপোর্টার:  বইছে নির্বাচনী হাওয়া।এই তো এখন কেবল জানা বাকি দলীয় প্রার্থীতা নিয়ে। দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত খুবই নিকটে।

মুন্সিগঞ্জ-২ লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত।

এই আসনটি মুন্সিগঞ্জের একটি গুরুত্বওপূর্ণ আসন।  পদ্মা সেতুর গোরাপত্তন এই এলাকায় হওয়ায় আসনটি নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের বিশেষ নজর রয়েছে।

 

মনোনয়ন প্রত্যাশায়  আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা  এখানে গণসংযোগ করছেন। এই

আসনটি  বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে  আওয়ামী লীগ নিজেদের হাতে নিয়ে যায়। এখানে আসনটি ধরে রাখতে চায় আওয়ামীলীগ।  তৃণমূল গ্রুপিংয়ের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম কোন্দল।

 

মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের বর্তমান এমপি অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। ১৯৯৬ সালে নারী সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও দলীয় মনোনয়ন লাভ করে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও  দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয় এমিলি। বর্তমানে তিনি ব্যাপক জনসংযোগ সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করছেন। এবং শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।   সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশায় এমিলি সমর্থকবৃন্দ প্রচারণা রয়েছেন মাঠে।

 

এছাড়াও বর্তমানে এই আসনে আওয়ামীলীগের  মনোনয়ন পেতে মাঠে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন  অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এই আসনে তিনি ইতিমধ্যে স্থানীয়দের কাছে আলোচনায় রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগের একটি বড় অংশ

তার সাথে মাঠে কাজ করছেন। এটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরও নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়টি দলীয় সংকেত বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

 

অন্যদিকে এই আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে মনোনয়ন চাইছেন জেলা আওয়ামীলীগের  সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান। তৃণমূলে তাকে নিয়েও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রচারণা করছেন। এর আগে টঙ্গীবাড়ি  উপজেলা আওয়ামীলীগের এক কর্মিসভায় তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

 

 

 

এখানে আলোচনায় রয়েছেন আরেক নারী নেত্রী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক  এড. সোহানা তাহমিনা। অনেকদিন ধরে  তৃণমূলে উঠান বৈঠক, কর্মিসভা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহন করে কাজ করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। মাঠে থেকে তিনি স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে চলেছেন অদ্যবধি।

 

এই আসনে এছাড়াও  আওয়ামীলীগের মনোনয়ন  পেতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন

জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদের দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ। টঙ্গীবাড়িতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তার।

 

অন্যদিকে লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ সিকদার মনোনয়ন প্রত্যাশায় কাজ করছেন। এখানে মনোনয়নের জন্য টঙ্গীবাড়িতে বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন টঙ্গীবাড়ি মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার প্রয়াত আওয়ামীগ নেতা বীর মুক্তিযুদ্ধা  এড. শামসুল হকের কন্যা আফিয়া বেগম হ্যাপি। তিনি বীর মুক্তিযুদ্ধা এড. শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যানারে বিভিন্ন কার্যক্রম করছেন।

 

এছাড়াও মনোনয়ন চাচ্ছেন লৌহজং উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   এড রানু আক্তার। তিনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

 

 

 

এদিকে মুন্সিগঞ্জ ২ আসন একটি গুরুত্বপূৃৃর্ণ আসন বিধায় এটি ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দল। এখানে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের ভেতরে ভেতরে নিরব কোন কোন্দলের কারণে ক্ষতি হতে পারে বলে অনেকের ধারণা। তাই মনোনয়ন দল থেকে যাকেই দেওয়া হোক সকলকে একযোগে কাজ করে আসনটি ধরে রাখতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

Be the first to comment on "মুন্সিগঞ্জ ২ আসন : আওয়ামীলীগে কোন্দল, প্রার্থীতা নিয়ে গুঞ্জন"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*