এখন রাজনৈতিক দলগুলোতে পরীক্ষিত নেতা-কর্মী বলে কিছু নেই। নির্বাচন আসন্ন তাই মৌসুমী রাজনীতিবিদের অভাব নেই। দীর্ঘদিন যাবত মনের গভীরে প্রোথিত দলের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালবাসা সবই এখন অসার। তথাকথিত ঐক্য আর জোটের অনাকাঙ্খিত প্রচন্ড আঘাতের চোটে ত্যাগী নেতাকর্মীর রাজনৈতিক প্রাণ এখন ত্রাহি ত্রাহি। মনোনয়ন প্রাপ্তিতে যে কথাটি সর্বাগ্রে বিবেচ্য সেটি প্রার্থী দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ কিনা, প্রার্থিত আসনে তার জনগনের সাথে সংশ্লিষ্টতা কতটুকু, নির্বাচনে জয়লাভ করার মতো সামর্থ্যতা কতটুকু। আমরা আমজনতা, রাজনৈতিক বোদ্ধারা আরো ভালোভাবে অবগত আছেন। নব্বই এর পরবর্তী নির্বাচনে প্রগতিশীল দলগুলো প্রার্থী বাছাইয়ে যথেষ্ট দূরদর্শিতার স্বাক্ষর করেছে তন্মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অগ্রগন্য। পরবর্তী সময়ে ডানপন্থী দলগুলোর মতো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এই দলটিতেও স্হান পেয়েছেন ব্যবসায়ী, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত কিছু আমলা,সামরিক -বেসামরিক, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তাদের রক্তের মধ্যে রাজনীতি ছিলনা বললেই চলে। তারা যে রাজনীতিতে প্রাজ্ঞ নন তা কিন্তু নয়।আজকাল খবরের কাগজ,রেডিও, টেলিভিশন সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমগুলোতে হর হামেশাই দেশীয় রাজনৈতিক অবস্থার আপগ্রেড গুলিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে রোগব্যাধি সারানোর দাওয়াইয়ের মতো।রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় রাজনীতি হলো রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কতগুলো সুশোভন, সুশৃঙ্খল নীতির অনুগামী হওয়া। কিন্তুু এখন পলিটিক্স পরিণত হয়েছে পলিট্রিকসে। অপকৌশলে ভর্তি রাজনীতির মাঠ। নমিনেশন বানিজ্য যে চলছেনা এটা হলফ করে বলতে পারবেনা অনেক দলই। আশাহত সত্যিকারের রাজনীতি করেন যারা বিশেষ করে দলের পোড়খাওয়া নেতাকর্মীরা। তাদের দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠছে বাংলার আকাশ -বাতাস।উড়ে এসে জুড়ে বসা একটা অশোভন রাজনৈতিক সংস্কৃতি। যেনতেন উপায়ে এটা করায়ত্ত হলেও সুফল দীর্ঘমেয়াদী নয়।তেলা মাথায় তেল, সুবিধাভোগীদের সুবিধাবৃদ্ধি -সুবিধা বঞ্চিতদের লাঞ্ছনা বৃদ্ধি করে ;অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে রাজনীতির শাণিত কুঠারে তারা সাধারণ মানুষের ললাটকে আরো রক্তাক্ত করে দিবে, করে দিবে ক্ষত -বিক্ষত।
Be the first to comment on "দুঃসাহস।। গোলজার পারভেজ"