বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই ব-দ্বীপকে শত শত নদী অতিক্রম করে গেছে। এগুলোর মধ্যে অনেক নদী দীর্ঘ ও প্রশস্ত। নদী এদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান প্রধান নদী হলো পদ্মা,মেঘনা,যমুনা এবং কর্ণফুলী। লুসাই পাহাড় থেকে কর্ণফুলীর উৎপত্তি। আমাদের টিকে থাকার জন্য নদী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কৃষিতে নদী সাহায্য করে থাকে। জলপথে যোগাযোগের জন্য নদী গুরুত্বপূর্ণ। মাছের উৎস হলো নদী। এবং ভাতের সাথে মাছই আমাদের প্রধান খাদ্য। নদী যথেষ্ট পরিমাণ পলি বয়ে আনে যা আমাদের জমিকে উর্বর করে। নদী আমাদের জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদী গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের নদীগুলো সম্পদের বড় উৎস।
তার বিভিন্ন মাছ,পাখি ও গাছগাছালির আবাসভূমি। বাংলাদেশের জনগণ নদী দ্বারা অনেক প্রভাবিত হয়। এদেশের মানুষের শিল্প ও সংস্কৃতি নদী দ্বারা প্রভাবিত হয়। নদীর সাহায্যে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে।
এগুলোর পাশাপাশি আমাদের নদ-নদী হল শক্তির উৎস। এর প্রচন্ড স্রোত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। কর্ণফুলী জল-বিদ্যুৎ প্রকল্প এর একটি উদাহরণ।
আমাদের নদীগুলো বন্যার জন্য দায়ী যা আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে। বন্যা মূল্যবান প্রান ও সম্পদ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। যদি নদীগুলোতে পর্যাপ্ত সেচ এবং গভীর করা না যায়,তবে এগুলো সর্বোপরি ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
বাংলাদেশে ২৩০ – এর বেশি নদী আছে। এগুলো আমাদের প্রকৃতি প্রদত্ত উপহার। আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে এগুলো ভালোভাবে ব্যাবহার হয় না। আমাদের নদী থেকে আরো লাভবান হতে হলে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।
আসুন, নদীতে ময়লা- আবর্জনা না ফেলে নিদৃষ্ট স্থানে ফেলি। কল- কারখানার বর্জ্য নদীতে না ফেলি।
সকলে সচেতন হই। এবং নদী সম্পদ রক্ষাকরী। দেশের উন্নতি করি ।
ছবি: সংগৃহীত
Be the first to comment on "আসুন নদী রক্ষা করি-সমিনা ইয়াসমিন প্রমি"