সড়ক অবরোধের ডাক
ডেস্ক রিপোর্ট: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার কলেজ মোড়ে ‘দীঘিনালার সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে তিন শতাধিক পাহাড়ি-বাঙালি নারী-পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা দীঘিনালায় সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে কর্মসূচি থেকে।
মানববন্ধন শেষে মিছিল সহকারে উপজেলা পরিষদে গিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে পাঠানো স্মারকলিপির একটি কপি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবকমল চাকমার হাতে দেওয়া হয়। এছাড়া তিন শতাধিক লোকের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ শহীদুল ইসলাম দীঘিনালায় যোগদানের পর তাঁর নানামুখি পদক্ষেপের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক কর্মকাণ্ড, ক্রীড়াসহ ভালো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় খুব দ্রুত এলাকাবাসীর কাছের মানুষে পরিণত হয়েছেন। তাই তাঁর আকস্মিক বদলির আদেশ মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন দীঘিনালা প্রেস ক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাজু, বাজার চৌধুরী জেসমিন চাকমা এবং সনাতন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জীবন চৌধুরী উজ্জ্বল। বক্তারা বলেন, বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীঘিনালায় যোগদান করার পর উপজেলা পরিষদের কর্মশৃঙ্খলাসহ উপজেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের কারণে তিনি অল্পদিনে দীঘিনালার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য তাঁকে দীঘিনালায় প্রয়োজন। অথচ যোগদানের পর দুই বছর পূর্ণ না হলেও তাঁকে আকস্মিক বদলি করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ উপজেলার সাধারণ মানুষ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ শহীদুল ইসলাম গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি দীঘিনালায় যোগদান করেন। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর বদলির আদেশ আসে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় তাঁকে বদলি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদলির আদেশ জানার পরই বদলির বিরোধিতা করে রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে। সকালেই মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। সকালে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই কলেজ মোড়ে জড়ো হতে থাকে মানুষ। ৩০ মিনিট মানববন্ধন করা হয় সেখানে।
কালের কন্ঠ
Be the first to comment on "দীঘিনালা ইউএনওর বদলি ঠেকাতে মানববন্ধন"