মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে গৃহবধু বৃষ্টি আক্তার হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বৃষ্টি আক্তারকে ধইঞ্চা ক্ষেতে ফেলে দিয়ে মৃত্যু রহস্য আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধইঞ্চা ক্ষেতে লাশ পচে গলে কঙ্কাল হয়ে যায়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ হত্যা রহস্য উন্মোচনসহ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লৌহজং থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর লৌহজং উপজেলার কড়ারবাগ গ্রামের প্রায় ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূ এক সন্তানের জননী বৃষ্টি আক্তারের (২০) গলিত লাশসহ হাড়গোড় একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ধাইরপাড়ার নুর হাওলাদারের ধইঞ্চা ক্ষেত থেকে উদ্বার করে লৌহজং থানা পুলিশ।
প্রথমে এ ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর কুদ্দুস শেখ গত ২০ সেপ্টেম্বর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ৭ অক্টোবর বৃষ্টি আক্তারের গলিত লাশ ও হাড়গোড় উদ্বারের পরে বৃষ্টি আক্তারের চাচা মো: ফারুক শেখ ঐ দিনেই বাদী হয়ে লৌহজং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৪ তাং ৭/১০/১৮ইং)। মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাকসুদা লিমার নেতৃত্বে লৌহজং থানার ওসি মো: লিয়াকত আলী, ওসি (তদন্ত) মো: রাজিব খান ও মামলার তদন্তকারী অফিসার শেখ মো: আবু হানিফ থানা পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিত্বে হত্যা মামলা দায়েরে ৯ দিনের মাথায় অভিযান চালিয়ে গত ১৭ অক্টোবর বুধবার এ হত্যাকান্ডে জড়িত অটো ড্রাইভার কড়ারবাগের মো: বাছেদ হাওলাদারকে (৩৯) গ্রেপ্তার করা করে। সে একই গ্রামের জমশের হাওলাদারে পুত্র।
এ ব্যাপারে লৌহজং থানার ওসি (তদন্ত) মো: রাজিব খান জানায়, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অজানা এ হত্যা রহস্য উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হত্যাকারীকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টায় ধাইরপাড়ায় অটোচালক বাছেদ পিছন থেকে বৃষ্টি আক্তারকে ধাক্কা দিলে সে রাস্তার উপর ইটের সাথে আঘাত পেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে কেউ যেন কিছু বুঝতে না পারে, সে জন্য তাকে (বৃষ্টিকে) ধইঞ্চা ক্ষেতে কোমড় পর্যন্ত পানিতে ফেলে রেখে চলে যায় অটো চালক। আসামী বাছেদকে গ্রেপ্তার পর তার দেয়া তথ্য মতে বৃস্টি আক্তারের ব্যাবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী বাছেদকে আদালতে হাজির করলে সে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন বাসেদ। হত্যাকান্ডে নিহত হওয়া বৃষ্টি আক্তার কড়ারবাগ গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী হারুন শেখের স্ত্রী। তাদের এক বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
জনকন্ঠ
Be the first to comment on "তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যা রহস্য উন্মোচনসহ আসামী প্রেপ্তার"