মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদীতে ধরা পড়েছে একটি শুশুক। সোমবার দুপুরে উপজেলার বড় নওপাড়া নদীতে জনৈক জেলের কারেন্ট জালে শুশুকটি আটকা পড়ে।
এদিন বেলা ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী মশদগাঁও গ্রামের লক্ষ্মী নারায়ণ (১৩) ও সীমান্ত (১৪) নামে দুই বালক নদীর পাড়ে শুশুকটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। শুশুকটির মুখে কারেন্ট জালের ছেড়া অংশ থাকায় অনুমান করা হয় অজ্ঞাত জেলেদের জালে এটি আটকা পড়েছে। তারা ভয়ে নদীর কিনারে এটি ফেলে রেখে যায়।
পরে নারায়ণ ও সীমান্ত শুশুকটিকে মশদগাঁও গ্রামে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলে। শুশুকটি দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। পদ্মার তীরে শুশুকটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। তবে কিছু সময় পর মাটি সরিয়ে আবার এটিকে তোলা হয়। কারণ, এলাকায় ধারণা প্রচলিত আছে যে, শুশুকের তেল শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষ করে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যথা হলে, ভেঙে বা মচকে গেলে এর তেল মালিশ বেশ কার্যকরী।
পরে নারায়ণ ও সীমান্ত শুশুকটিকে মশদগাঁও গ্রামে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলে। শুশুকটি দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। পদ্মার তীরে শুশুকটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। তবে কিছু সময় পর মাটি সরিয়ে আবার এটিকে তোলা হয়। কারণ, এলাকায় ধারণা প্রচলিত আছে যে, শুশুকের তেল শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষ করে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যথা হলে, ভেঙে বা মচকে গেলে এর তেল মালিশ বেশ কার্যকরী।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অ. দা.) মো. ইদ্রিস তালুকদার জানান, এটি গভীর পানির প্রাণী। সাধারণত স্রোতপ্রবন এলাকায় এদের বিচরণ। এরা মানুষজনের ক্ষতি করে না। এ ধরণের প্রাণী মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। মানুষজন এটি দেখলে আদরই করে। কারণ এটি হিংস্র নয়। এক সময় প্রাণীটি বর্ষাকালে এ অঞ্চলের খালেও দেখা যেত। কারণ সে সময় খালগুলোতে প্রচুর পানি ছিল। তবে এখন এ প্রাণীটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। এটি মেরে ফেলা ঠিক হয়নি। এটিকে না মেরে নদীতে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে প্রাণীটি মেরে ফেলা ঠিক হয়নি। সম্ভবত পদ্মায় জেলেদের জালে শুশুকটি ধরা পড়লে তারা এটিকে ওই স্থানে ফেলে রেখে যায়। খবর নিয়ে এটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। যাতে এটিতে পচন ধরে এলাকায় পরিবেশ নষ্ট না করে।
কালের কন্ঠ
Be the first to comment on "লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদী থেকে শুশুক উদ্ধার"