স্টাফ রিপোর্টার : ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যে যাচছেন অনেক বাঙালী নারী শ্রমিক। এর তালিকায় বেশি গিয়েছেন গৃহকর্মীর কাজে। সরকারী হিসাবে গত ৪০ বছরে দেশে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই অর্থ পাঠিয়েছেন ১৬১টি দেশে থাকা প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ প্রবাসী। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশ গেছেন ৭ লাখ ২২ হাজার ১শ’ কর্মী। যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার নারী।
প্রবাসী নারী শ্রমিকের চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে তাদের কাজের ঝুঁকি আর প্রতারকের দৌরাত্ম্য। সাম্প্রতি সময়ে মধ্যপ্রাচ্য হতে অনেক প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরছেন।
। যারা ফিরে আসছেন তাদের প্রায় সবাই যৌন নির্যাতন এবং অন্যান্য নির্যাতনের অভিযোগ করছেন।’ তবে দেশে ফিরে এলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছেন না ভুক্তভোগী এসব নারী।
জীবনের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এবং পরিবার পরিজনকে ভালো রাখার জন্যই প্রতিবছর বৈধ-অবৈধভাবে পরিবার-পরিজন ছেড়ে সৌদি আরব, লেবানন, জর্ডান, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, মরিশাসের উদ্দেশে দেশ ছাড়ছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি নারী শ্রমিক। কিন্তু তারা প্রতারিত হয়ে নির্যাতনের কারনে ফেশে ফেরত আসার ঘটনা ঘটছে।
মফস্বল শহর মুন্সীগঞ্জে প্রবাসীদের দ্বারা অনেক রেমিটেন্স আসে। এইখান হতে অনেক নারী শ্রমিকও বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন ভাগ্য বদলের চেষ্টায়। কিন্তু গত ১ বছরে মুন্সীগঞ্জে অনেক নারী শ্রমিক দেশে ফেরার খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে অনেক ক্ষতির সাধন হচ্ছেন তারা।
অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের ( ওকাপ) চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলামের মতে দেশে বিদেশে অভিবাসন নিয়ে অনেক আইন থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এই কারণে প্রতিনিয়ত নারী শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরছেন। এই সমস্যা রোধে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস গুলো অনন্য ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশেষ করে বর্তমানে সৌদি আরবে নির্যাতনের ঘটনা এটা বেশি ঘটছে৷ ফ্রি ভিসার নামে তাদেরকে ঠকানো হচ্ছে।আসলে ফ্রি ভিসা বলতে কিছু নেই।
Be the first to comment on "প্রবাসী নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরে আসছেন"