জুতা ও কোমড়ের বেল্টে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে সাড়ে ২৩ কেজি ওজনের ২০০টি স্বর্ণের বার পাচারের সময় আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১।
শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দীন এ তথ্য জানান।
চোরাচালনকারী সদস্যরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার শিবরামপুর এলাকার মৃত আলেপ খানের ছেলে মোঃ মহসীন খান(৪৭), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার গোবিন্তপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ফিরোজ আহম্মেদ(৩৪), একই থানার মদনখালী এলাকার মৃত ইয়াকুব শেখের ছেলে মো. সিদ্দিকী (৪৬), শেখ জামাত আলীর ছেলে মোঃ মিজান(৩৪)ও মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর থানার শিবরামপুর এলাকার শেখ সার্থক আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪৭)।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী পুলিশ সুপার জানান,একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালানকারী চক্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এই সকল চোরাচালানি চক্রকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ টিম গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার র্যাব-১১এর একটি দল জানতে পারে যে,চোরাকারবারী চক্রের কিছু সদস্য ঢাকা হতে মৈনট ঘাট ব্যবহার করে যশোর হয়ে ভারতে পাচারের জন্য স্বর্ণ নিয়ে যাচ্ছে।
পরে সকাল ৮ টায় ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাট এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসায়। এ সময় চোরাকারবারিরা ২টি ত্রি-হুইলার সিএনজি যোগে চেকপোস্টের অদূরে নেমে সাধারণ যাত্রীবেশে ঘাট পারাপারের জন্য অগ্রসর হতে থাকে। কিন্তু র্যাবের চেকপোস্ট দেখতে পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। পরে অভিনব কায়দায় তৈরিকৃত কোমরের বেল্ট ও জুতার ভিতর থেকে স্বর্ণের বার গুলি উদ্ধার করা হয়। ২০০টি স্বর্ণের বারের ওজন সর্বমোট ২৩ কেজি ৩২৮ গ্রাম, স্বর্ণের গুণগতমান ২৪ ক্যারেট এবং বিশুদ্ধতার মান ৯৯.৯৯%, যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক নয় কোটি টাকা।
এছাড়াও ৫টি মোবাইল ফোনসহ নগদ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা র্যাবকে জানায়, তারা দীর্ঘ সময় যাবৎ চোরাচালানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
ঢাকাটাইমস
Be the first to comment on "জুতা-বেল্টে সাড়ে ২৩ কেজি সোনা"