স্টাফ রিপোর্টার : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কেসি রোড এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী চেকপোষ্টে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে লেখক ও প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু হত্যা মামলার দুই আসামী, শামীম ওরফে বোমা শামীম এবং এখলাসুর রহমান এখলাস। শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে নিহত দুজন জেএমবি নেতা এবং তাদের সাথে আসা আরো দুজন জঙ্গি দুটি মোটর সাইকেলে চড়ে শ্রীনগর বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টি অথবা ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসতে থাকে, জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে শ্রীনগরের দুটি পয়েন্টে অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসানো হয়। এবং বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে কেসি রোডে বসানো চেকপোষ্টের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা বন্দুক যুদ্ধ চলে। এসময় পুলিশ ৫৮ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। গুলাগুলি শেষে ঘটনা স্থলে শামীম ও এখলাস গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পরে থাকে আর অপর মোটর সাইকেলে থাকা দুজন জঙ্গি পালিয়ে যায়। নিহত দুজন জঙ্গি জেএমবির পুরাতন নেতা এবং তারা দুজন লেখক বাচ্চু হত্যা মামলার আসামী বলে জানান পুলিশ সুপার। জায়েদুল আলম আরো জানান, বাচ্চু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শামীম ও অস্ত্র দিয়েছেন এখলাসুর। এর আগে লেখক বাচ্চু হত্যা মামলার আসামী বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়া আব্দুর রহমানের বর্ননা এবং ক্রাইম রিপোর্ট পর্যালোচনা করে জানতে পেরেছে এদুজনই বাচ্চু হত্যা মামলার সাথে জড়িত। জুন মাসের ১৩ তারিখে নিহত হওয়া লেখক বাচ্চু হত্যা মামলায় চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়। যার মধ্যে তিনজন পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। প্রকাশক বাচ্চুকে ১৩ জুন সিরাজদিখানে প্রকাশ্যে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় জঙ্গিরা। বাকি আরেকজন হত্যাকারীরে দ্রুতই আইনের আওতায় আরা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।জেএমবি নেতা শামীমের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায় আর এখলাসের বাড়ি জামালপুর জেলায় বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, ১১টি তাজা ককটেল, দুটি ছোরা ও একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।’
এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।
Be the first to comment on "ব্লগার শাহজাহান বাচ্চু হত্যা : অস্ত্র দেন এখলাসুর’ মূল হোতা শামীম"