মাহবুব আলম জয় : দেশে এসেও হতাশ হচ্ছেন তারা। জীবনযুদ্ধে নেমে জীবিকার তাগিদে অনেক মানুষই বাধ্য হয় দেশান্তরী হতে। কিন্তু সুন্দর জীবনের খোঁজে যাওয়া এই প্রবাসীরা কি আসলেই সুন্দর একটা জীবনের দেখা পায়? হয়তো কেউ পায় কেউ পায়না।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। অনেক পরিবারও তাদের ছেলে/মেয়েদের প্রবাসীদের সাথে বিয়ে দিতে চায়না। এমনকি বছরের পর বছর যাদের জন্য তারা প্রবাসে পরিশ্রম করছেন সেই পরিবারও অনেক সময় তাদের ভুল বোঝে।
একদিকে পরিবার দেশের কল্যাণে নিয়োজিত প্রবাসীরা যৌবনকে হারিয়ে নিজেদের শ্রম বিক্রয় করেন। অন্যদিকে এক শ্রেণীর আদম ব্যসায়ীরা তাদেরকে ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এতে করে অনেকে এক বুক স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসে পাড়ি জমিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। যে কারণে দেশে ফিরে আসতে অনেককে বাধ্য করা হচ্ছে।।দেশে এসে এক দিকে ঋণের চাপ অন্যদিকে সাংসারিক চাপ সব মিলিয়ে হতাশায় গ্রাস হচ্ছে দেশ ফেরত প্রবাসীরা।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মো: রিপন মিয়া (৪০) অনেক স্বপ্ন নিয়ে একটি চাকুরি ছেড়ে পরিবারের সুখের কথা ভেবে প্রবাসে পাড়ি জমান।কিন্ত যে কাজের কথা বলে তাকে নেয়া হয়েছিল তা তাকে দেয়া হয়নি। বরং মালিকের নিয়মিত অত্যাচারে তিনি দেশে চলে আসতে বাধ্য হন।এবং কথিত আদম ব্যবসায়ীর নিকট হতে অর্ধেক অর্থ ভর্তুকি দিতে হয় তাকে। বর্তমান ঋন ও জীবনের চিন্তায় তিনি হতাশায় ভুগছেন। বলছি মো: মামুন হোসেনের কথা, প্রবাসে গিয়ে দেশে ঋণ গ্রস্থ হয়ে সকল টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।অন্যদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেন না সে। অনকে দেশে এসেও কর্মক্ষেত্র নিয়ে চিন্তায় ভুগছেন। এই হচ্ছে প্রবাসীদের চিত্র। আমি বিশ্বাস করি কোন একদিন প্রবাসীদের সকল কষ্ট দূর হবে এবং তাদেরকে সোনার ছেলে বলবে সবাই।
—– লেখক: সাংবাদিক ও সংগঠক
Be the first to comment on "প্রবাস জীবন: দেশে এসেও হতাশ তারা!"