শিরোনাম

টেলিফিল্ম জয়তি মুক্তি পাবে ঈদুল আযহায়

চেতনায় একাত্তরের

 বাল্যবিবাহ 

বিরোধীটেলিফিল্ম

বীরমুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহম্মেদ

দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী,বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নারীদের অবদান প্রশংসনীয়, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী-ষ্পিকার নারী,জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নারী,প্রধান বিরোধীদলের নেত্রী নারী, এমন কি আমি যে জেলার বাসিন্দা সেই জেলার ডি.সিও নারী, এই চিত্র দেখে হয়তো সকলে মেনে নিবে নারীর ক্ষমতায়ন যথাযথভাবে হয়েছে, নারীদের আর কি চাই, আসলে তাই নয়, আসল চিত্র অন্য কথা বলে, এই শীর্ষ পদে যারা আছেন, তারা হয় জনগনের সমর্থন নিয়ে এসেছেন নয়তোবা নিজ যোগ্যতা বলে এসেছেন, আসলে গ্রামবাংলার দৃশ্যপট ভিন্ন নারীর শিক্ষা হার বাড়লেও সন্তোসজনক নয়, এখনো শশুর বাড়িতে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে, বাপের বাড়িতে কন্যার দায়গ্রস্থ পিতার সন্তান হয়ে বড় হয়, হাট-বাজার-রাস্তা-ঘাটে অহরহ ইপটিজিং এর শিকার হচ্ছে, গ্রামের কুসংস্কারও দূর হয়নি, একশ্রেনীর ধর্মীয় লেবাসধারী নারীদের ভোগের সামগ্রী-সেবাদাসী মনে করে, সন্তান জম্মদানের মেশিন মনে করে, তাছাড়া হিল্লা বিয়া,মৌলবী দিয়ে কলমা পড়িয়ে বা সিঁদুর পড়িয়ে বিয়ে আছেই, এইগুলো হলো সমাজের কুসংস্কার, আদি সমাজব্যবস্থার ধারাবাহিকতা, নারীদের ধর্ষণ, এসিড মারা,নির্যাতন করে হত্যা ইত্যাদি অহরহ আমাদের সমাজে ঘটছে, আইন করে কোনক্রমেই এই অনাচার-অবিচার দূর করা যাচ্ছে না

 

নারীদের পিছিয়ে পড়ার আরো একটি অন্যতম বিষয় হলো বাল্যবিবাহ, কন্যার দায়মুক্ত হতে, কন্যা ধর্ষনের শিকার হবে পারে এমন আশঙ্কায় লজ্জা থেকে রেহাই পেতে, কন্যার ভরন পোষন থেকে মুক্ত হতে,অনেক পিতা-মাতা ১২/১৪ বয়সের কন্যাকে বিয়ে দিয়ে দেয়, দরিদ্র-অভাবগ্রস্থ পরিবারে বাল্যবিবাহ বেশী হয়

একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ে হওয়ার কারনে, সব সময় তাকে শারিরিক সম্যায় পড়তে হয়, অল্প বয়সে সন্তান জম্ম দেওয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, মেয়েটিকে পরিবারের সহায়ক না হয়ে, বোজা হয়ে থাকতে হয় বাল্য বয়সে বিয়ের কারনেস্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে,এমনকি মেয়েটিকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়

আইন করে বাল্য বিবাহ দূর করা সম্ভব নয়,কখনো বাল্যবিবাহের হার কমলেও কিছু দিন পর আবার যেই,সেই, সমাজে গেঁড়ে বসা এই রোগের প্রধান ঔষধ হোল সমাজকে সচেতন করা-সামাজকে সচেতন করার মাধ্যমেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব, সেই লক্ষ্য নিয়েই টেলিফ্লিম~জয়তি~নির্মান করা হয়েছে, জয়তি হলো একটি দরিদ্র পরিবারের ১৩ বছরের কন্যা সন্তান,জয়তি লেখাপড়া করতে চায়, দরিদ্র পিতামাতা ছয়টি সন্তানের ভরনপোষনের পরও সন্তানদের লেখাপড়া চালিয়ে যায়,সমাজের এক লম্ফট সাবেক মেম্বার, লতিফ মেম্বারের লালসার দৃষ্টি পড়ে জয়তির বাড়ন্ত দেহের উপর, জয়তির বাবার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে, অর্থ,জমিজমার লোভ দেখিয়ে প্রথমে নেশাখোর ছেলে কালুর সাথে জয়তির বিয়ের কথা বলে কিন্তু পরবর্তীতে লুচ্চা লতিফ মেম্বার নিজেই জয়তিকে বিয়ে করতে চায়, জয়তির কলেজ পড়য়া ভাই ও চেয়াম্যানের বিশ্ববিদ্যালয় পড়য়া মেয়ে এবং সমাজের সচেতন কিছু লোকের প্রচেষ্টায় সর্বোপরি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে এই যাত্রায় জয়তির বিয়ে বন্ধ করা গেলেও লম্পট রহিম মেম্বাররা কিন্তু সমাজে থেকেই যায়?

আশাকরি জয়তি টেলিফিল্মটি আপনাদের ভাললাগবে, অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রায় সকলেই সৌখিন অভিনেতা,যারা জয়তি নাটক-এ অভিনয় করছে, প্রেরনা যোগালে আগামীতে আরো ভালো করবে মিরকাদিম পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন এর সহযোগিতায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহম্মেদ রচিত ও জাকির ছিদ্দিকী পরিচালিত টেলিফ্লিম জয়তি চেতনায় একাত্তরের ২য় প্রয়াস ।

Be the first to comment on "টেলিফিল্ম জয়তি মুক্তি পাবে ঈদুল আযহায়"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*