ক্রীড়া ডেস্ক: ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শুরুতেই গোলের দেখা পেয়েছে ইংল্যান্ড। তাতে ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা। মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে বুধবার ম্যাচের ৫ম মিনিটেই ইংলিশদের এগিয়ে দেন কারিয়ান ত্রিপার।
এরআগে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ড একাদশে কোন পরিবর্তন আনেননি কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া একাদশে হয়েছে একটি পরিবর্তন। ফরোয়ার্ড আনদ্রেই ক্রামারিচের জায়গায় মিডফিল্ডার মার্সেলো ব্রজোভিচকে দলে রেখেছেন কোচ জ্লাতকো দালিচ।
এরআগে ১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। সেবারই শিরোপা ঘরে তুলেছিল। এরপর বড় মঞ্চে দলটির সেরা সাফল্য বলতে ১৯৯০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। সেবার অবশ্য ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল ইংলিশরা।
১৯৯১ সালে যুগোস্লোভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর ছয়টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের অভিষেকেই শেষ চারে পা রেখেছিল তারা। ঐ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে সেমি-ফাইনালে হারের পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় জয় পায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এটাই বিশ্বমঞ্চে দেশটির সেরা পারফরম্যান্স।
চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে ইংল্যান্ড হেরেছে একটি ম্যাচ।
বিশ্বকাপে এর আগে কখনোই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়নি ক্রোয়েশিয়া। আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে দুই দলের একমাত্র দেখাটা হয়েছিল ২০০৪ সালের ইউরোয়। সেবার ৪-২ গোলে ইংলিশদের পরাস্ত করে ক্রোয়াটরা। সব মিলিয়ে দুই দলের দেখা হয়েছে সাতবার। চার জয় নিয়ে এগিয়ে আছে থ্রি লায়ন্স। ক্রোয়েশিয়ার জয় দুটি। ১৯৯৬ সালে দুই দলের প্রথম ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র। সে হিসেবে আজ কিছুটা হলেও ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে ইংলিশরা।
Be the first to comment on "শুরুতেই এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড"