শিরোনাম

নারী হয়ে এতিমের টাকা মেরে খাওয়া সমস্ত নারীর জন্য কলঙ্ক

 

সংসদে প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা: নারীর ক্ষমতায়নসহ যেকোনো উন্নয়নে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা থাকা দরকার বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন নারী মানে একজন মা, সেই নারী হয়ে এতিমের টাকা মেরে খাওয়া—এটা চিন্তাই করা যায় না। এটা সমস্ত নারীর জন্য কলঙ্ক বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১১ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যেভাবে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমাদের মেয়েরাই লাভবান হবে। আমি বলব, নারীর ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা, উন্নয়ন সবকিছুই নির্ভর করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর, যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

নুরজাহান বেগমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কোর্টের রায়ে জেলে আছেন। একজন নারী হয়ে দুর্নীতির দায়ে সাজা হয়েছে। মামলাটা আমরা করিনি। রাজনৈতিক কারণে মামলা হলে ২০১৪-১৫ সালেই তাকে গ্রেপ্তার করতে পারতাম। কোর্টের রায়ে তার সাজা হয়েছে। মামলাটি প্রায় ১০ বছর চলেছে। বিএনপির এত জাদরেল আইনজীবী, তারা কেউ তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারল না, বরং তারা জানতো তিনি অপরাধী। যে কারণে রায়ের আগের দিন তাদের দলের গণতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করল। তাদের গঠণতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজকে নেতা করার সুযোগ করে দিল। এটাই প্রমাণ হয়, তিনি অপরাধী। এটা নারী জাতির জন্য লজ্জার। নারী জাতির জন্য কলঙ্কের।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সারা দেশে নারীদের ওপর নির্যাতন চালায়। এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখানে নারীদের ওপর নির্যাতন হয়নি। যে কারণে তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি, এটাই বাস্তবতা। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৩-১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মেয়েদের পুড়িয়ে মেরেছে। নারীর ক্ষমতায়ন তখনই সম্ভব যখন গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যাতে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হয় সে পরিকল্পনা আমাদের আছে। একটি গভীর সুমদ্রবন্দর করা দরকার, যার প্রক্রিয়া এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমরা গ্রামে গ্রামে কর্মসংস্থান করব। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করব।

প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহাকাশ জয় সম্ভব হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিটিআরসির কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৬ বছরের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চলতি বছর ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল, স্বনির্ভর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট যোগাযোগের সূচনা করেন। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উদ্যোগে মহাশূন্যে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। স্বপ্নের স্যাটেলাইট নির্মাণ ও এর সফল উৎক্ষেপণে আমি গর্বিত এবং আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকাশে আজ বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। এ গৌরব বর্তমান সরকারের, এ গৌরব দেশের ১৬ কোটি মানুষের। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর মহাকাশে নিজেদের অবস্থানকে সমুন্নত রাখতে এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে প্রেরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

  1. ডেস্ক রিপোর্ট

Be the first to comment on "নারী হয়ে এতিমের টাকা মেরে খাওয়া সমস্ত নারীর জন্য কলঙ্ক"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*