বীরমুক্তিযোদ্ধা কামাল আহম্মেদ
আগামী ১৪ই জুন মস্কোতে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী মানুষের প্রিয় খেলা বিশ্বকাপ ফুটবল। বিশ্বের সেরা ৩২টি দেশের জাতীয় দল মস্কোতে বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হতে লড়াই করবে।
এই সকল দেশের পক্ষে বিশ্বের খ্যাতিমার ফুটবল তারকারা তাদের ফুটবল ক্রীড়া শৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে অগনিত দর্শক ও ভক্তদের মাতিয়ে রাখবে।
প্রতি ৪ বৎসর অন্তর অন্তর বিশ্ব ফুটবল সংস্থা( ফিফা) বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।বাংলাদেশের ফুটবল পাগল মানুষেরা ৪ বৎসর অপেক্ষায় থাকে বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করার জন্য।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আবার তাদের পছন্দনীয দেশের ফুটবল টিমের ভক্ত-সমর্থক আবার এই মানুষদের মধ্যে অধিকাংশই আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের ভক্ত-সমর্থক,বলাচলে বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের মানুষ দুইধারার বিভক্ত, এক পক্ষ ব্রাজিল অন্য পক্ষ আর্জেন্টিনা বলা যায় আমাদের দেশের এক সময়ের সেরা দুই ফুটবল টিম আবাহনী আর মোহামেডানকে নিয়ে মাতামাতির মতো।
তবে বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের বাহিরে কিছু সংখ্যক মানুষ নাইজেরিয়া, জার্মানী, স্পেন,ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দলের সমর্থক-ভক্ত আছে,
তবে এশিয়া থেকে অংশগ্রহনকারী দেশের ফুটবল দলেরও সমর্থক আছে, এই সমর্থক সংখ্যা আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সমর্থকদের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে না এর একমাত্র কারন খেলার মানগত দিক দিয়ে এশিয়া থেকে প্রতিনিধিত্বকারী দেশসমূহ খেলার উৎকর্ষ বিকাশে লেটিন আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশসমূহের সম পয্যায় যেতে পারেনি।
ইতিমধ্যেই ফুটবল পাগল বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ফুটবল মাতন শুরু হয়ে গেছে,শহরসমুহ বিভিন্ন দেশের পতাকায় ছেয়ে গেছে, বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর সাথে সাথে এর সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। এই পতাকা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরোটা সময় উড়বে। আমাদের মুন্সীগঞ্জ জেলাতেও বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা নিয়ে মাতামাতি কোন অংশে কম নয়, খেলা পাগল মুন্সীগঞ্জের মানুষ বিশ্বকাপের প্রতিটি খেলা প্রানভরে উপভোগ করবে,নিজ নিজ দলের সমর্থকরা জয়ে হাঁসবে,পরাজয়ে কাঁদবে, সারাদেশের মতো মুন্সীগঞ্জ জেলার অধিকাংশ মানুষ ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা দুই শিবিরে বিভক্ত,অনেক বাজার ও গ্রামে বড় পর্দায় বিশ্বকাপ খেলা দেখার আয়োজন করে থাকে,এমনকি বিদ্যুৎ চলে গেলে যাতে খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হতে না হয় সেই জন্য জেনেরেটর এর ব্যবস্থাও করা হয়।তবে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে যত মাতামাতিই থাকুক না কেন, সমর্থক,ভক্তদের মধ্যে ঝগড়া ফেসাদ হয়না বলেই চলে, ইতিমধ্যে মুন্সীগঞ্জের জেলার শহর ছাড়িয়ে গ্রামে-গঞ্জে হাটে-বাজারে সর্বত্র উড়ছে বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন দেশের পতাকা, এমনকি অজপাড়া গাঁ ও চরাঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে উড়তে দেখা যায় আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পতাকা।বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর দিন যতই এগিয়ে আসছে ফুটবল পাগল মানুষের মনে উত্তেজনা ততই বাড়ছে।
তবে একটা বিষয় আশংকা করা যায়,ইদানিং আই-পি-এল( ক্রিকেট) এর মতো এক শ্রেনীর জুয়াখোর(বাজিকর)এর পক্ষে বিশ্বকাপ ফুটবলে বাজি ধরার ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা শোনা যায়, তাহলে বাজির অর্থ পরিশোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি সংগঠিত হওয়ার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাথায় রাখতে হবে।আমাদের সকলের প্রত্যাসা বিশ্বকাপ ফুটবল-২০১৮ আনন্দময় হোক,শান্তিপুন্নভাবে সমাপ্তি ঘটুক।
Be the first to comment on "উৎসবময় বিশ্বকাপ ফুটবল পতাকার বর্ণিল সাঁজে বাংলাদেশ"