বীরমুক্তিযোদ্ধা কামালউদ্দিন আহাম্মদ
আসলে আমাদের মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরের মানুষ খুব উৎসব প্রিয়। অধিকাংশ মানুষ সামাজিকতার বন্ধনে আবদ্ধ থেকে পরিবার সমেত বসবাস করে থাকেন। এই অঞ্চলের মানুষ হৃদয় খোলা, অতিথি পরায়ন, কমর্ঠ, সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহ খুবই আন্তরিকতার সাথে সামাজিক রীতিনীতি মেনেই আনন্দমূখর পরিবেশে পালন করে থাকে। যেহেতু এই এলাকার প্রায় ৯০% জন মানুষই ইসলাম ধর্মের অনুসারী, মুসলমান।
তাই মুসলমানদের প্রধান উৎসব ঈদ,শবে বরাত, শবে মেরাজ ও ঈদে মিলাদুন্নবীর ও মাহে রমজান। এক মাস পবিত্র সিয়াম, সাধনার মাধ্যমে ধর্মপ্রান মুসলমানরা পালন করে থাকে।এক মাস ভোর রাতে সেহেরী খেয়ে সারাদিন কোন কিছু না খেয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা পালন করে থাকেন। রোজার রাখার নিয়ম কানুনের মধ্যে মূল বিষয় হলো রাতে তারাবী নামাজ আদায় করা।
যাই হোক আমি যে সমাজে বড় হয়েছি, যে সমাজ থেকে রীতি-নীতি, আচার আচরণ শিখেছি সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমি আমার ছেলে বেলার রমজান পালন সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করছি। ছেলে বেলায় দেখিছি বরাতের পর পরই এক মাস রোজা রাখার একটি প্রস্তুতি চলতে থাকতো। তবে আমার রোজার সাথে ঈদের আনন্দের একটা আনন্দ মনে বিচরণ করতো। তাই রোজার রাখার পাশাপাশি ঈদ উদ্্যাপনের প্রস্তুতিও চলতে থাকতো, রোজা যত এগিয়ে যেত, ঈদেও আনন্দও তত বাড়তে থাকতো।
যাই হোক শুরুর রোজাটা খুবই আনন্দদায়ক হতো আর শেষের রোজাটা ঈদের আনন্দের সাথে মিলিয়ে যেত। মায়ের কাছে রাখার ইচ্ছাপোষন করে ঘুমিয়ে পরতাম, সেই সময় গ্যাস ও বিদ্যুৎ ছিল না। তাই মা, বড় বোন রাতে উঠেই গরম ভাত রান্না করতো প্রয়োজন মতো মাছ-মাংস, তরিতরকারী রান্না বা গরম করত। আমাদের ঘুম থেকে জাগাতো এই সময়টা ছিল খুবই বিরক্তিকর।
তারপরও রোজার রাখার আনন্দে উঠে পরতাম এবং দাঁত ব্রাশ করে মুখ ধূয়ে সেহেরী খেতাম প্রথম প্রথম সেহরী খাওয়ার পর ঘুমাইতাম না, ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে চলে যেতাম। নামাজ শেষে কিছুক্ষণ সাথীদের সাথে হাটতাম, তারপর বাসায় গিয়ে শোয়ে পড়তাম, স্কুল বন্ধ থাকতো তাই পড়া ও স্কুলে যাওয়ার তেমন চাপ থাকতো না। তবে স্কুলের রোজার বন্ধ হতো ১ মাস ৫/৭ দিন যে দিন স্কুল রোজার বন্ধ দিত, সেই দিন স্কুলে ফুলের মালা নিয়ে যেতাম, সবার মনে একটা আনন্দ বিরাজ করতো, আজ বড় একটা ছুটি পাব, ক্লাসে সার আসতো, আমরা সবাই চুপচাপ থাকতাম আর ক্লাস শুরু করতো। সে দিন সার তেমন পড়ানো হতো না, তবে সার বন্ধের সময় পড়াশুনা দুষ্টমি না করা এবং রোজার বিষয় কথা বলতেন, উপদেশ দিতেন। এক সময় দপ্তরী নোটিশ খাতা নিয়ে আসতেন,সার পড়ে ছুটির ঘোষনা দিতেন, আমরা টেবিল চাপড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করতাম, দপ্তরী নোটিশ খাতা নিয়ে চলে যেতেন আমরা একে একে স্যারের গলায় মাল পড়িয়ে দিতাম। স্যার সবগুলো মালা টেবিল রাখতেন স্তুপ আকারে। এক সময় স্যার দাড়িয়ে সব মালা হাতে নিয়ে চলে যেত, আমরাও ছুটির আনন্দে হৈ-হুল্লা করে ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে আসতাম, কিছুক্ষণ স্কুলের মাঠে দ্বাড়িয়ে দেখতাম, প্রতিটি ক্লাস
থেকে স্যাররা মালা হাতে নিয়ে বের হয়ে আসতেন, নজর রাখতাম কোন ক্লাস থেকে স্যাররা বেশী মালা নিয়ে বের হয়।
যাই হোক রোজার সময় খেলাধুলায় বেশী মেতে থাকতাম, ঘুড়ি উড়ানো এবং ঘুড়ি ধরা ছিল আমার খুবই শখ তারপর দাড়িয় বান্দা, ফুটবল, ক্রিকেট, দান্ডাগুটি, মারবেল, শিশু কিশোর কালের সময় বেদাবেদে একের সময় এক এক রকম খেলতাম। আমাদের লজিং মাষ্টারও ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যেত। তাই তেন পড়াশুনা করতে হতো না।
যে দিন রোজা রাখতাম সেই দিন বেশি খেলাধুলা করতাম না, ক্ষিদে এবং পানির তৃষ্ণা বেশি লাগতো, যা দেখতাম তাই খেতে মন চাইতো। রোজা রাখার দিনটা যেন শেষ হতেই চাইতো না। ঘূরে ঘূরে মায়ের কাছে আসতাম জিজ্ঞেস করতাম কয়টা বাজে, ইফতারের কতো বাকী, মা বলতো শোয়ে থাক, তখন কি দিনে শোয়ে থাকার বয়স, কখনও ভাই বোনদের সাথে লুডু খেলতাম, ১৬ ঘুটি, ৩ ঘুটি পাইট খেলতাম আবার সময় সময় ঠাকুর মার ঝুড়ি বই পড়তাম, ৮ম/৯ম শ্রেণির ছাত্রকালিন সময় শরৎচন্দ্রের, শ্রীকান্ত, গোয়েন্দা উপন্যাস মাসুদ রানা, বনহুর এই সব বই পড়ে সময় কাটাতাম তবে জঙ্গলের ভ্রমন ও শিকার কাহিনী ছিল আমার খুবই প্রিয়।
ইফতারের আগে মনে একটা আনন্দের হিল্লোল বহে যেত, বাজার থেকে বরফ নিয়ে আসা, মা-বোন ইফতার তৈরীতে এবং গুছাতে ব্যাস্ত, বাবা বাজার থেকে কিছু না কিছু নিয়ে বাড়ী আসতেন, তবে আসরের নামাজের পর পরই ইফতারের একটা আমেজ লক্ষ্য করতাম, মা বাড়িতে ইফতার তৈরী করেেতা, আখের গুরের শরবত, ইছরগুলের ভুষির শরবত, খেজুর বা খুড়মা, বুট,বোড়া,চাপটি, সময় সময় পিঠা বাড়িতেই তৈরী করা হতো। বাবা ইফতার কওে মসজিদে যেত নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে দোকানে যেত, বাবা হুক্কা দিয়ে তামাক খেত, পিতলের দুই ফুট হুক্কার লম্বা নল ছিল, বাবা সুগন্ধি তামাক খেত, ইফতারের পর দোকানে বাবার সমবয়সী বন্ধুবান্ধবরা আসতো, দোকানের কর্মচারী আবু মিয়া হুক্কা সাঁজিয়ে দিত, বাবা হুক্কার নলে টান দিয়ে,যারা যারা হুক্কা খেত তাদেও দিকে হুক্কার নল দিত এইভাবে সবাই হুক্কা টানতো। বাড়ির পাশেই বাজার ৫০/৬০ গজ দূর হবে,বাজার সংলগ্ন মসজিদ, বাড়ি থেকে ৩০ গজ দূরে, বাজারে বাড়তি ইফতার বেচাকেনা হতো, দোকানীদের হাকডাক ছিল রোজার বাড়তি আনন্দ, বিশেষ করে হাইকোর্ট ভূইয়ার কলফি মালাই ও বরফ বিক্রি, মস্তফার খাসির চবরী দিয়ে তৈরী বুট বিক্রি, দিনু ভাইয়ের বুট, পিয়াজু, চপ, হেলু ভাই আর আজিজ ভাইয়ের সরবত, বেগুনী ছিল রোজার বাড়তি আকর্ষণ।
আসলে সেই সময় বাজারে যেমন লোক সমাগম বেশি ছিল না।
ছিল না তেমন দোকানপাট, লোকসংখ্যাও ছিল কম, আর রাজার ও গ্রামের কাঁচা রাস্তা বৃষ্টি হলেই কাঁদাকার হয়ে যেত, তখন রোজাদাররা বাসায়ই ইফতার করতে, তেমন বাহির হতো না। তবে নূরপুর মোড়ে, যে মোড়ে হাবেজল মিয়ার হোটেল, আমাদের ভূষা মালের দোকান, জগার মিষ্টির ও পোকন মিয়ার হোটেল, চায়ের দোকান, এইখানে সব সময় একটু লোক সমাগম বেশীই থাকতো, তাই আলগা দোকান এই মোড়েই বেশী বসতো। টিনপট্টিতে বিকেলের পর তেমন লোকজন না থাকলেও সন্ধার পর ভরত পালের মাটির হাড়ি পাতিলেল দোকানের সামনে দুধের বাজার বসতো আর কাপড় পট্টিতে ঈদ উপলক্ষে রমজানে দর্জিদের সেলাই মেশিনের শব্দ শোনা যেত। তবে নূরপুর মসজিদে নিত্যদিন মুসাফিরদের জন্য ইফতারের আয়োজন থাকতো। প্রতিটি বাড়িতে ইফতারের আয়োজন থাকতো। বাড়ি বাড়ি থেকে ইফতার সামগ্রি সমজিদে পাঠানো হতো। সেই ইফতার এক সাথে করে মাটির খোড়া দিয়ে মসজিদে যতজন লোক থাকতো তাদের মধ্যে ইফতার সমানভাবে ভাগ করে দিত, বাড়ি বাড়ি থেকে ইমাম সাহেবদের জন্য ভাল মানের ইফতার আসতো। যে দিন না আসতো সেই দিন মসজিদের ইফতার থেকে ইমামকেইফতার দেওয়া হতো আর যে দিন মসজিদে কোন ইফতার আসতো না সেই দিন সেক্রেটারী আলী জমিদার ইফতারের ব্যবস্থা করতেন।
অনেক সময় রোজা রেখে অনেক ক্লান্ত হয়ে যেতাম, মা বলতো কাল আর রোজা রাখতে দিব না, আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলতাম না আমি রোজা রাখবো। মা বলতো ছোটদের জন্য অর্ধেক রোজা রাখার নিয়ম আছে। তুই সেহেরী খাবি, বেলা ১২ টা পর্যন্ত রোজা রাখবি তারপর খেয়ে নিবি, এই নিয়মটা আমার কাছে ভাল লাগেনি, তারপরও কয়েকটা অর্ধেক রোজা করছি। রোজা না রাখলে ইফতারের সময় একইভাবে ইফতার করেছি, তবে রোজা রেখে ইফতারের যেমন আনন্দ পেয়েছি রোজা না রেখে ইফতারে সেই আনন্দ পাই নাই।
রোজা যতই সামনে চলতো মনের মধ্যে ঈদের আনন্দ ততই ডানা মেলতো বিশেষ করে ১০ রোজার পর ঈদের নতূন জামা কাপড়ের জন্য মায়ের কাছে আবদারের পর আবদার করতাম, বরাবরের মতো মা বলতো তোর বাবার ব্যবসার ভাল না দেখি কি করে।
যাই হউক এক সময় বাবা আমাদের ভাই-বোনদের দর্জির কাছে পাঠাতো, দর্জি জামা-কাপড়ের মাফ নিত।
প্রথম দিকে, পায়জামা-পাঞ্জাবী, পরবর্তীতে হাফপেন্ট ও শার্ট বানাতাম, বাবা তার পছন্দ মতো কাপড় কিনে দর্জিকে দিত। এরপর শুরু হতো দর্জি করে জামা কাপড় দিবে এর তাগাদা, যাই হউক রোজার সময় ঈদের আর একটা প্রস্তুতি ছিল, বেড়ানো, মুন্সিগঞ্জ মহরে ছবিঘর বা দর্পনা সিনেমা হলে সিনেমা দেখা তাই আগে থেকেই টাকা জমাতাম, ঘন ঘন বোনদের বাড়িতে যেতাম, মায়ের কাছ থেকে নিতাম, খরচ করতাম না জমাতাম ঈদের আনন্দের জন্য। রমজানের বোনদের শুশুর বাড়ীতে ইফতার পাঠানো এবং গ্রামের নিকট জনদের বাড়িতে ইফতার পাঠানো হতো এবং আমরা দিয়ে আসতাম এবং বিভিন্ন জনদের কাছ থেকে আমাদের বাড়িতেও ইফতার আসতো, আমরা সেই ইফতার আনন্দের সাথে খেতাম রোজা না থাকলেও, ইফতারের আগে সেই ইফতার খেতাম না।
বাবা ছিলেন গ্রামের মাতাব্বর, সঙ্গ কারনেই প্রতি রোজায় শেষ দিকে রোজাদারকে খায়ানোর হতো,যাকে বলা হতো,রোজদাইরা খাওন, রোজদাইরা খাওনের জন্য যাদেও দাওয়াৎ দেওয়া হবে, তাদেও তালিকা তৈরী করা হতো, তালিকা অনুযাযী গ্রামের লোকদের রোজার খাবারের দাওয়ার দেওয়া হতো, আত্বিয় সজন ও বোন, ভগ্নিপতি পরিবার সমেত রোজদাইরা খাওনে আসতেন, সে দিন মায়ের কাজ বেড়ে যেত, বাড়তি আয়োজনের জন্য পাকানীকে সব কিছু কেটে কুটে তৈরী কওে দিতে হতো, যদিও উৎসাহসহকারে বাড়ির আত্বীয় স্বজনরা মসলা বাটা, কাটা, ধূয়ার কাজ করতো, মাকে-ই সব কিছু গুছিয়ে দিতে হতো।
ইফতারের পর মাগরেব-এর শেষে রোজাদাররা একে একে আসতো, আমাদেও বড় ঘরের মেঝেতে পাটি পেতে,চাদর বিছিয়ে বসার ব্যাবস্থা করা হতো, তবে চিলঞ্চিতে হাত ধূয়ানো হতো, হাড্ডি-কাটা ফালার জন্য ছত্ররঞ্চি পেতে দেওয়া হতো, তখন তেমন ডেকোরেটর ছিল না, ছোট খাট অর্থাৎ ১০০/১৫০ জনের আয়োজনের চিনিরপ্লেট, কাঁচের গ্লাস নিজেদের সংগ্রহে থাকতো, টান পড়লে আত্বীয় স্বজনদের কাছ থেকে আনা হতো। বিশেষ করে রোজদাইরা খাওনে থাকতো, ভাত, রুইমাছ, গরুর মাংস, মুগের ডাল আর দুধ।
বলাচলে ছেলে বেলায় আনন্দ উৎসব আর ঈদের প্রহরের অপেক্ষার মধ্যে রোজার দিনগুলো কেটে যেত।
রোজার মেষের দিকে বাড়িতে নত’ন জামা কাড়র নিয়ে আসতাম, বন্ধুরা আসতো আমাদের জামা কাপড় দেখতে, আমরাও অন্যদেও ঈদেও জামাকাপড় দেখতে যেতাম, ইদের মশাল বানানোর জন্য কেরোসিন তেল,পুড়ামবিল,সংগ্রহ করতাম,মা আমাদের মশাল বানিয়ে দিত, আমরা ঈদের দিন ভোর রাতে মশাল জ্বালিযে পুকুওে গোসল করতে যেতাম।
বাবা ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যেতেন আর মা আমাদের জন্য সেমাই রান্না করতেন, সকালে মা আমাদের নত’ন জামা কাপড় পড়তে দিয়ে বাবার ইদের নামাজ পড়তে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন আমরাও নত’ন জামা কাপড় পড়ে ইদের নামাজ পড়তে ঈদগাঁ চলে যেতাম, ঈদেও নামাজ শেষে বাড়িতে এসে সেমাই খেয়ে বন্ধুদেও সাথে বেড়িয়ে পরতাম, ঈদেও আনন্দে সারাদিন মেতে থাকতাম,মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে,মায়ের মুখটা দেখে যেতাম, কিছু খেয়ে যেতাম। মা,বাবাকে খাইয়ে,নিজে গোসল করতেন, সারা দিন মেহমানদারী করতেন। ভাইবোনদের খাওয়াতেন,তারপরও মায়ের মুখে হাসিঁ লেগে থাকতো। একমাস রোজা রেখে আমাদের ভাইবোনদের মনে তৃপ্তি দিতে মা যে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সংসারের হাল পোক্ত করে ধরে রেখেছিলেন,হাসি মুখে আমাদের সকল আবদার রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, সেই মায়ের নিজের রোজা রাখা আর ঈদের দিনটি, প্রতিদিনের মতো অতিবাহিত করলেও তার মুখে যে আনন্দের ঝলক আর ঠুটে তৃপ্তির হাঁসির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে, আমাদের(সন্তানদের) আনন্দময় পরিবেশে রোজার একমাস অতিক্রম আর উৎসব ও হাসিঁ খুশিঁ মনে ঈদ উদ্যাপনের আনন্দের মাঝে, তাই বলবো আমার ছেলে বেলার রমজান-ঈদ,যেন মায়ের হাতের মোয়া।
Be the first to comment on "ছেলে বেলার রমজান-ঈদ: যেন মায়ের হাতের মোয়া"