মাহবুব আলম জয় :
রমজান হচ্ছে বিশেষ রহমতের মাস। এই পবিত্র মাসে পবিত্র কোরআন নাযিল হয়েছে। রমজান মাসের ব্যাপক ফজিলত রয়েছে। এই মাসের বরকত ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ সাধিত হয় বেশি। বছর ঘুরে এই রমজান মাসে ধর্মপ্রান মুসল্লীদের জন্য পূণ্যময় ইবাদত নিয়ে আসে তারাবি নামাজ।
রমজান মাসের রাতে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবি নামাজ’ বলা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় মাহে রমজানে তারাবি নামাজ পড়াকালীন প্রতি দুই রাকাত অথবা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবি’। সিয়াম সাধনার মূল লক্ষ্য আরাম-আয়েশ প্রবণতা সংযতকরণ।
মহানবী (সা.) রমজান মাসে তারাবি নামাজ আদায় করার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহ প্রদান করতেন। তারাবি নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে পুণ্য লাভের আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করেন, তাঁর অতীতকৃত পাপগুলো ক্ষমা করা হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম) ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে তারাবি নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবায়ে কিরামকেও পড়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তারাবি নামাজ নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা বেশি সওয়াবের কাজ।
আসুন রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি। এবং সিয়াম সাধনার মাসে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও রোযার সাথে তারাবি নামাজ আদায় করি।
Be the first to comment on "মাহে রমজান : তারাবি নামাজের গুরুত্ব"