শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাবা আরিফ নিহত

 

ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জে অবৈধ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাইফুল ইসলাম আরিফ ওরফে বাবা আরিফ (৩৭) নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।  আহত এসআই মো. আসলাম ও কনস্টেবল কালামকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের চর হায়দ্রাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বাবা আরিফের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, ডাকাতিসহ ১২টি মামলা রয়েছে।  মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পঞ্চসার ইউনিয়নের মিরেশ্বরাই গ্রামের জুলহাস বেপারীর ছেলে নিহত আরিফ।

 

পুলিশ জানায়,  বুধবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের দুর্গাবাড়ি এলাকা থেকে ১১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে।  বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আরিফকে নিয়ে সদর থানার পুলিশ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামেন। চর হায়দারাবাদ এলাকার জাকির মোল্লার ভিটে বাগানে পৌঁছলে আরিফের সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় আরিফ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার সহযোগিদের গুলিতে আহত হয়। আরিফকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।  পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলিসহ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।

 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মালিরপাথর এলাকায় কারেন্টজাল ছিনতাই করার সময় ওঁতপেতে থাকা এলাকার আরেক সন্ত্রাসী ইমরান বাহিনী তাকে গণপিটুনি দেয়।  মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে আরিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

 

 

এরপর আরিফ দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত মাসখানেক আগে জামিনে মুক্ত হয়।  এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে পরকীয়া ও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে তার স্ত্রী সাবিনা আক্তার রুনু। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় কর্মরত এএসআই আলম সরোয়ার্দি রুবেলকে তার বাসা ও কর্মস্থল থেকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করে।  পরে পুলিশ সদস্যের স্বীকারোক্তিতে আরিফের স্ত্রী রুনুকে পুলিশ আটক করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়। বর্তমানে আরিফের স্ত্রী কারাগারে রয়েছে।

 

স্থানীয়রা আরও জানিছেন, আরিফ গত বিএনপি সরকারের আমলে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভাই মহিউদ্দিনের শেল্টারে সন্ত্রাসী হয়ে উঠে। জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধে। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক পক্ষের শেল্টার নিয়ে আরিফ হয়ে উঠে আরও বেপরোয়া। গড়ে তুলে ইয়াবার সাম্রাজ্য।  চাঁদাবাজি, ছিনতাইও করে বেড়ায়। হুমকি দেয় বিবদমান আরেকটি অংশের একাধিক নেতাকেও। জীবন শঙ্কা ও অস্তিত্ব সঙ্কটে আওয়ামী লীগের ওই অংশটি।  অবশেষে রাত আড়াইটার দিকে গুলিতে নিহত হয় আরিফ।

 

অবজারভার

 

 

 

Be the first to comment on "মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাবা আরিফ নিহত"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*