চেতনায় একাত্তরঃ ১৭ই এপ্রিল মুজিব নগর দিবস পালন উপলক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী গীগ স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমীতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ামরম্যান,জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর চীফ সিকিউরিটি অফিসার বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় মুজিব নগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি,জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনিস উজ্জামান(আনিস),জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধূরী, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক এ্যাড.সোহানা তাহমিনা, সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ, সাংস্কৃতির বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিউল ইসলাম হিরু, দপ্তর সম্পাদক শ্রী কমল চন্দ্র আইস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আফছারউদ্দিন ভূ’ইয়া, সাধারন সম্পাদক,হাজী সামছুল কবির মাষ্টার, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি পি.পি. এ্যাড.আঃ মতিন, মিরকাদিম পৌর সভার মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এ্যাড,শামছুন নাহার শিল্পি, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.টি.এম দেলোয়ার হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সস্তান কমান্ডের সভাপতি রাজন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধা সহ যুবলীগ,কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন বলেন জতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুদক্ষ নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের ফসল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়, স্বাধীনতা অর্জন এবং আমাদের বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের পর বঙ্গবন্ধু উপলব্দি করেছিলেন, যে কোন সময় এই অঞ্চলের মানুষের উপর তৎকালিন পাকিস্তানী সামরিক শাসকগোষ্টি আক্রমন করতে পারে এবং তাকে হত্যা বা বন্ধি করতে পারে, তাই বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের একটি গরিকল্পনা তৈরী করে নিজের লোকদের সেইভাবে প্রস্তত থাকার দিক নির্দেশনা প্রদান করেন, সেই দিকনির্দেশনার অংশই তৎসময় অস্থায়ী স্বাধীন বাংলা সরকার (যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত) ১০ই এপ্রিল গঠন করা হয়, এবং ১৭ই এপ্রিল মুজিব নগর সরকার মেহের পুর আম্র কানুনে শপথ গ্রহন করেন,আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জন এবং বাংলাদেশ সৃষ্টিতে মুজিব নগর সরকারের গুরুপ্ত অপরিসীম।
তিনি আরো বলেন সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তাকে নির্বচিত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, জয়ের কোন বিকল্প নেই,যদি আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে না পারে, দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবাসহ সব ধরনের সরকারী ভাতা বি.এন.পি,জামাত বন্ধ করে দিবে, জঙ্গিবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে,আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের উপর চালানো হবে ভয়াবহ জুলুম, অন্যায়-নির্যাতন, অত্যাচার আমাদের স্বাধীনতা হুমকীর মুখে পড়বে,তাই যে কোন মূল্যে আগামীতেও জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করতে হবে। আমি বলবো যারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভে মাঠ পয্যায় কাজ করছেন, আপনারা সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড এবং সফলতা সমূহ জনগনের মাঝে তুলে ধরুন, পাশাপাশা বি.এন.পি জামাত জোট সরকার আমলের দুর্নীতি,চুরি,বোমাবাজী,হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষনের ভবাবহ চিত্র প্রকাশ করুন,এবং আওয়ামী লীগ,সংখ্যালঘুদের বাড়ীঘরে আগুন দেওয়া, লুটপাট করার,জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার বিবরন তুলে দরুন।
মনে রাখবেন বি.এন.পি জামাতের ষঢযন্ত্রে পা দিবেন না, বি,এন.পি শ্বাধীনতা বিরোধী লোকজন কখনো আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে না, তাই এই অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া মানে তাদের ফাঁদে পা দেওয়া,তৃনমূল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মি-সমর্থকদের যথাযথ মূল্যায়ন করুন,তারাই দূর্দিনে আওয়ামী লীগের সত্যিকারের কান্ডারী, তারা কখনও বঙ্গবন্ধু,আওয়ামী লীগ,নৌকা আর শেখ হাসিনার সাথে বেঈমানী করে না।
Be the first to comment on "মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস আলোচনা সভা"