২০১৬ সালে “বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড” পাওয়ার পর আবারও ২০১৮ সালে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সাহসিকতা বিভাগে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভাগের (শ্রীনগর সার্কেলের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাকসুদা লিমা। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার রাজারবাগে “বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮” আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি।
ঘটনাস্থলের মেঝেতে এক কোনায় পড়ে থাকা ৪ টুকরো কাগজ খুঁজে পেয়ে ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিন কেরানীগঞ্জের কদমতলা এলাকার চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটন করেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান থেকে সুমন নামের এক হত্যাকারীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে। সে সময় তিনি ঢাকা জেলার সহকারি পুলিশ সুপার ছিলেন। সফল এই পুলিশ কর্মকর্তা কাজী মাকসুদা লিমা পরে সেই সিরাজদীখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন।
ফাইল ছবি
আর চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কাজী মাকসুদা লিমা মুন্সীগঞ্জ পুলিশ বিভাগের শ্রীনগর সার্কেলে যোগদান করেন ২৮ জানুয়ারি। তার ৬০ দিনের মাথায় ৬টি ক্যাটাগরিতে ২০ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে সাহসিকতা বিভাগে দ্বিতীয় অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলেন তিনি।
সাহসিকতা বিভাগে অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সার্কেলের কাজী মাকসুদা লিমা বলেন, পুলিশে যোগদানের পর আমাদের যে এক বছরের ট্রেনিং হয় সেটার পর নিজেকে কখনও লেডি হিসেবে মনে করিনি। নিজেকে লেডি বা জেন্টস হিসেবে পার্থক্য করিনি, একজন পুলিশ হিসেবেই ভেবেছি।
বর্তমান কর্মস্থলে নারী হিসেবে চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কর্মস্থলের এলাকায় চরাঞ্চল রয়েছে। সেখানকার মানুষগুলো নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায়ই মারামারিতে লিপ্ত হয়। তারা মাঝে মধ্যে প্রশাসনকেও মানতে চায় না।
এদিকে তার এই অর্জনে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন হতে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। কাজী
ডেস্ক/ আলোকিত মুন্সীগঞ্জ
Be the first to comment on "সাহসীকতায় অ্যাওয়ার্ড পেলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী লিমা"