স্টাফ রিপোর্টার : মিরকাদিমে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে মুন্সীগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলের সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ, কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধা আঃ রহিম, মুক্তিযুদ্ধা মোঃ লিয়াকত আলী প্রমূখ।
এতে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা কামালউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, তৎকালিন পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের ছিল এই দেশের মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন,এই দেশকে পশ্চিম পাকিস্তানীদের কলোনী বানানোর মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষদের দাসত্বে পরিনত করা, উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল, পাকিস্তানীদের এই দূর্ভিসন্ধির প্রতিবাদে বায়ান্নয়ের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আন্দোলনের বীজ বপন করা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬৬ এর দফা কর্মসূচির বাস্তবায়ন আন্দোলন, ৬৯এর গনঅভ্যুধ্যান,৭০ এর নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জয়লাভ করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে এই অঞ্চলের মানুষ একক নেতৃত্বে দ্বাড় করায়, তখন বঙ্গবন্ধু ছাড়া এই অঞ্চলের মানুষ অন্য কিছু ভাবতো না, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মতো সব কিছু করতো, ৭ই মার্চ এর ভাষনে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার যে ডাক দেন, তারপর থেকেই আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্ততি গ্রহন করি,২৫শে মার্চ রাতের আধারে পাক হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট নামে যে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম নিশংস গনহত্যা চালায় ,এই অঞ্চলের নিরহ মানুষকে অকাতরে হত্যা করে, এই জগন্য হত্যাকান্ড-এ প্রতিশোধ নিতে আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে আরো বেগবান করে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন চিত্র সুন্দরভাবে তুলে ধরেন।
তিনি আরো বলেন স্বাধীনতা অর্জনের পর যখন বঙ্গবন্ধু সপ্নের সোনার বাংলা একটি ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ১৫ আগষ্ট১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়, স্বাধীনতা রিরোধীদের নিয়ে সরকার গঠন করে জিয়া এই দেশে সামরিক ও স্বৈরশাসন কায়েম করে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অপূরন থেকে যায়, বিদেশে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মধ্যে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে এই দেশের মানুষের আহবানে দেশে ফিরে আসেন, দীর্ঘ সংগ্রাম আন্দোলনের মধ্যদিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে,বাবা-মা-ভাই,বোন স্বজনদের শোক বুকে চেপে রেখে এই দেশের মানুষের কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করেন, মানমীয় প্রধানমন্ত্রি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা তলাবিহীন জুড়ি থেকে,স্বল্পউন্নত দেশের মর্যাদা পাই এখন স্বল্প উন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি,এই ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নাই। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এই ধরনের অনুষ্টানের আয়োজন করায় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার সুদক্ষ দেশ পরিচালনায় আজ বাংলাদেশ স্বল্প উন্নতদেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করায় আমরা ৫দিন ব্যপী কর্মসূচী পালন করছি, তারই অংশ হিসাবে আজকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্থৃতিচারনমূলক অনুষ্ঠান করছি, আগামীতেও আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনুষ্ঠান-এর আয়োজন করবো।
Be the first to comment on "মিরকাদিমে গনহত্যা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন"