শিরোনাম

আমরা মর্মাহত

 

ডেস্ক: কত স্বপ্ন পুড়ে ছাই মুহূর্তের মধ্যে। সোমবার বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ৬৭ যাত্রীর কেউ হিমালয়কন্যা নেপালের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য গিয়েছিলেন, কেউবা বাংলাদেশ থেকে নিজ বাসভূমে প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের অপেক্ষায়। সিলেটের রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নেপালের কয়েকজন শিক্ষার্থীও ছিলেন। পরীক্ষা শেষে তারা পরিবারের সান্নিধ্য পেতে চেপেছিলেন দুর্ভাগ্যের শিকার বিমানটিতে। পাইলট ও সহকারী ছিলেন চারজন। এখন আনন্দ নেই, শান্তি নেই- কেবলই দুঃখ-কান্না। আমরা শোকস্তব্ধ, মর্মাহত। শোক প্রকাশের ভাষা নেই। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন অন্তত অর্ধশত। বাকিরা হাসপাতালে। অনিঃশেষ দহনযন্ত্রণার শিকার স্বজন ও নিকটজনদের সমবেদনা। সৃষ্টিকর্তার কাছে আকুল প্রার্থনা- ‘শোক সহিবার দাও শকতি’। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অগ্নিদগ্ধ মৃত যাত্রীদের সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। এ দৃশ্য কাঁদায় সকলকে। আহত কাউকে কাউকে নিয়েও শঙ্কা। আকাশে ডানা মেলে চলা বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে পাইলট-ক্রু ও যাত্রীরা হয়ে পড়েন অসহায়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ৩৪ বছর আগে বর্তমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খারাপ আবহাওয়ায় অবতরণের সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় পড়েছিল, যাতে মৃত্যু হয় ৪৯ যাত্রী ও ক্রুর। গত কয়েক বছরে আমাদের জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের বহর বড় হয়েছে, কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি দেশের অভ্যন্তরে ও আশপাশের দেশগুলোতে যাত্রী পরিবহনে যুক্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে নিত্যদিন ওঠানামা করে নানা দেশের বিমান। ছোটখাটো দুর্ঘটনা মাঝেমধ্যে হয় বটে, কিন্তু সেই ১৯৮৪ সালের পর দেশি-বিদেশি বিমান ওঠানামা করে অনেকটা নিরাপদেই। কাঠমান্ডুতে আমাদেরই একটি বেসরকারি কোম্পানির বিমানের এমন

 

মারাত্মক দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, দায়-দায়িত্ব কার কতটা- এসব তদন্তে প্রকাশ পাবে। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি বিমান চলাচলে নিরাপত্তার দিকটি নতুন করে আলোচনায় আসবে। শোকের আবহে থেকেও এ বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পাবে,। এটাই কাম্য।

— সমকাল

 

 

 

 

 

 

 

Be the first to comment on "আমরা মর্মাহত"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*