ঢাকা : নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবহিনী।
এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাঠমান্ডুর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি হওয়ার শঙ্কা জানিয়েছে।
মাই রিপাব্লিকা নামের একটি অনলাইন সংবাদপত্র জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের দক্ষিণের টার্মিনাল থেকে ফেরার সময় রানওয়েতে গিয়ে এটি অদৃশ্য হয়ে যায়। তারপর বড় আকারের ধোঁয়ার কুন্ডলি আকাশে উঠতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার পর ত্রিভুবন থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা হাসপাতাল এবং এয়ারপোর্টে আছেন। আমার ধারণা, বেশির ভাগ যাত্রীই বেঁচে আছেন।
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলা বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন নেপালী, ৩৩ বাংলাদেশি, একজন মালদ্বীপের এবং এক চীনা নাগরিক ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে দুজন শিশু ছিল বলেও জানা গেছে।
দুর্ঘটনার কারণে ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সব ধরনের বিমান উঠানামা এখন বন্ধ রয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক মার্কিন নাগরিক জানিয়েছেন, বিমানটি মাটির খুব কাছে দিয়ে উড়ে আসছিল। সোমবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের পূর্ব দিকে বিমানটি ল্যান্ড করার সময় পাশের রানওয়ের বাইরে একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এর আগে দুপুর ১২টা ৫১মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এটি ছেড়ে যায়।
Be the first to comment on "বিধ্বস্ত বিমানে অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি"