শিরোনাম

খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড

 

ডেস্ক :জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

 

আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।

 

রায়ে বয়স বিবেচনায় খালেদার সাজা পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। খালেদা বাদ দিয়ে অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

 

৪০৯ ও ১০৯ ধারা মোতাবেক আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়া বিনাশ্রম ও অন্য পাঁচ আসামি সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।

 

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির অপরাধে দণ্ডিত হলেন।

 

২৬১ কার্যদিবসে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, ২৮ কার্যদিবস আত্মপক্ষ সমর্থন ও ১৬ কার্যদিবস যুক্তি-তর্ক শুনানি গ্রহণ শেষে এ রায় দেওয়া হলো।

 

খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দায়েরের ১০ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হলো।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

 

মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে ছিলেন।

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

 

এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

 

মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ অপর চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

 

Be the first to comment on "খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড"

Leave a comment

Your email address will not be published.


*