স্টাফ রিপোর্টার : বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা সিরাজ হায়দার ( ৭১) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় রাজধানীর কল্যাণপুরের নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সদ্য প্রয়াত অভিনেতা সিরাজ হায়দারের ছেলে ও নাট্য পরিচালক লেলিন হায়দার
জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করেন সিরাজ হায়দার। সকালে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী অভিনেত্রী মিনা হায়দার, দুই ছেলে, এক মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন প্রয়াত সিরাজ। মুন্সীগঞ্জের সদরের মিরকাদিমে তার বাড়ি। ধলেশ্বরী পাড়ে তার বেড়ে উঠা। এই অভিনেতার মৃত্যুর খবরে তার বাসায় ছুটে গেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
অভিনয়ের সঙ্গে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে জড়িয়ে আছে সিরাজ হায়দারের নাম। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় দিবসে টিপু সুলতান নাটকে করিম শাহ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় শুরু করেন ওই সময়ে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া সিরাজ।
দীর্ঘ সময়ে তিনি অভিনয় করেছেন যাত্রা, মঞ্চ, রেডিও, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে। মুক্তিযুদ্ধের পর চলচ্চিত্র পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের সহকারী হিসেবে ‘জল্লাদের দরবার’ চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্রের নাম ‘সুখের সংসার’। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত এ চলচ্চিত্রে সিরাজ হায়দার খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। মঞ্চ নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন মাত্র উনিশ বছর বয়সে।
১৯৭৬ সালে তিনি রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন এবং অনেকগুলো নাটকের নির্দেশনা দেন। সিরাজ হায়দার দু’টি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন। এদের একটি ‘আদম ব্যাপারী’ যা মুক্তি পায়নি, অন্যটির নাম ‘সুখ’। মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব বাবা আদম মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএফডিসিতে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তার নিজ গ্রাম দরগাহবাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
— সভ্যতার আলো
Be the first to comment on "চলে গেলেন প্রবীণ অভিনেতা মুন্সীগঞ্জের সিরাজ হায়দার"