ডেস্ক : চলে গেলেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী ( ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাটির মানুষ,সুরের মানুষ, জলের মানুষ বেঁচে থাকবেন সুরে সুরে কাছে কিংবা দূরে…জন্ম: ১৫ নভেম্বর ১৯৫৪, মৃত্যু: ২৪ নভেম্বর ২০১৭, সময়: রাত ২.৩০ মিনিট।
গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার রাতে বারী সিদ্দিকী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে যখন দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি অচেতন ছিলেন। তখন তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার দুটি কিডনি অকার্যকর। তিনি বহুমূত্র রোগেও ভুগছেন। বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী বলেছিলেন, বছর দুয়েক যাবৎ বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। গত বছর থেকে সপ্তাহে তিন দিন কিডনির ডায়ালাইসিস করছেন তিনি।
দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবার কাছে বারী সিদ্দিকী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পায়। এই ছবিতে তিনি ছয়টি গান গেয়ে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। তার জনপ্রিয় হওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া।
Be the first to comment on "এভাবে আর কখনো বারী সিদ্দিকীকে গাইতে দেখা যাবে না"