অপরূপ বাংলা আমার
জসীম উদ্দীন দেওয়ান
——————————
সবুজ শ্যামলী সফলের মাঠে, বার বার দোল খায় মন।
একি অপরূপে স্বপ্নিল ছায়ায়, পল্লী গাঁ কতো আপন!
স্বপ্ন এঁকে রাখে, গাঁয়ের পথের বাঁকে বাঁকে, পুরাবে শত স্বপন।
আমার বাংলা মায়ের হাজারো আদরে, গর্বে ভরে ওঠে মন।
পথের ধারে দেখো, কাঁশবনের ছবি আঁকো, সাদা পোষাকে পরী নাচে।
মাতাল কবি বলে, মরি মরি আকুলে, কোথাও কি এমন দেশ আছে!
ইছামতির বুক বয়ে, মাঝি যায় নাও বেয়ে, সকাল দুপুর কিবা সাঁঝ।
ধানের ক্ষেতে যেয়ে, কৃষানের সাথ কৃষাণ মেয়ে, হর্ষে ফসল তোলে আজ।
নদীর বুকে জাল ফেলে, খুশিতে নাচে জেলে, এমন দেশকি কোথা মিলে?
মনোমুগ্ধকর বাংলার কথা, বিমুগ্ধ কবি তাই, কবিতার লাইনে লাইনে বলে!
বর্ষার মধুর কালে, শালুক, শাপলা মিলে, রূপসী বাংলার খাল – বিল।
বাংলার আকাশটাতে, দেখে দেখে সবে মাতে, উড়ে কতো পাখির সাথে চিল!
পদ্মা,মেঘনা, ধলেশ্বরী, নদীর জলে গড়াগড়ি।
সাঁতার কাটতে যুবক হাসে খিল খিল।
আমার বাংলার গাছে, ফাগুনের আগুন আছে,
পলাশ, শিমুল নাচে গাছে।
কতো অপরূপে, মরি মায়ার কূপে,
পল্লী মায়ের সাথে মিশে।
Be the first to comment on "কবি জসিমউদ্দিন দেওয়ানের একটি কবিতা"