প্রায় ৪ হাজার বেদে সম্প্রদায়ের পুনর্বাসনের জন্য জায়গা দেখতে এসে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়লেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব মো. জিল্লার রহমান। শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গোয়ালিমান্দ্রা, কারপাশা ও মৌছামান্দ্রা এলাকার শত শত গ্রামবাসী ওই কর্মকর্তার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বাকবিতণ্ডায় জড়ায়।
এসময় সচিবের সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার ও সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমারা হাজার হাজার গ্রামবাসী শত শত বছর যাবৎ এখানে বসবাস করে আসছি। আমাদের কৃষ্টি কালচার সংস্কৃতি বেদে সম্প্রদায়ের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা সম্পূর্ণ অন্য শ্রেণি ও সমাজের। এখানে বেদে সম্প্রদায়ের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে ফসলি জমি ভরাট হয়ে যাবে। এলাকায় পানির সমস্যা বেড়ে যাবে, ক্ষতি হবে পরিবেশের। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটা হবে ক্ষতিকর।
তারা বলেন, আমরাও পুনর্বাসন চাই। তবে তাদেরকে আলাদা জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক এটাই আমাদের দাবি। এসময় স্থানীয় সকল শ্রিণি পেশার মানুষের বিক্ষোভের মুখে লৌহজং-গোয়ালিমান্দ্রা সড়ক প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ থাকে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান, আমরা বেদে সম্প্রদায়ের বাসস্থানের জন্য কয়েকটি জায়গায় খসড়া পাঠিয়েছিলাম। সচিব স্যার সেই জায়গা দেখার জন্য এসেছিলেন। বেদে সম্প্রদায়ের জন্য সরকারিভাবে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার একটা পরিকল্পনা রয়েছে। তাই স্যার তিনটি স্পট পরিদর্শন করে গেলেন। পরবর্তীতে কেবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন- স্যারের সঙ্গে গ্রামবাসীর কথা কাটাকাটি হয়নি। তবে গ্রামবাসী দাবি করেছে, এই জায়গায় বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করলে তাদের পরিবেশসহ সামাজিক ব্যবস্থাপনার ক্ষতি হবে। তারা এখানে বসবাস করতে পারবে না। এসময় সচিব গ্রামবাসীর অসুবিধা করে কোনো কাজ করা যাবে না বলে আশ্বস্ত করেন। সকলের আবাসন নিশ্চিত করেই বেদে সম্প্রদায়ের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/ জাগো নিউজ
Be the first to comment on "মুন্সীগঞ্জে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে সমাজ কল্যাণ সচিব"